চকলেটের লোভ দেখিয়ে দুধের শিশুকে ধর্ষন-খুন, ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ আদালতের

মাত্র ৫ বছরের দুধের শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

চকলেটের লোভ দেখিয়ে দুধের শিশুকে ধর্ষন-খুন, ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দুই অপরাধী (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মনে আছে নির্ভয়াকাণ্ডের কথা? সারাদেশ দেশ দেখেছিল কীভাবে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয়েছিল দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের ৫ অপরাধীকে। অতীতের সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে মাত্র ১ বছরের মধ্যে গণধর্ষন মামলায় সুবিচার পেল এক নাবালিকা ও তার পরিবার। নাবালিকা বললেও ভুল হবে। মাত্র ৫ বছরের দুধের শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় বুধবার ২ ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডের সাজার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ওই দুই আসামির নাম- ফাগুন মাণ্ডি ওরফে পুঁই এবং ভাকু ওরফে রবীন্দ্র রাউত। নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় ধৃতদের এদিন মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর,  বুধবার ঝাড়গ্রামের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক ও সেশন জাজ এবং জাজ স্পেশ্যাল কোর্ট পকসো চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় সাজা ঘোষণা করেন। নয়াগ্রাম থানা এলাকার বাসিন্দা ফাগুন মাণ্ডি ওরফে পুঁই এবং ভাকু ওরফে রবীন্দ্র রাউতকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

আরও জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর। ওইদিন সকাল দশটা থেকে পাঁচ বছরের শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন গ্রাম-সহ আত্মীয় পরিজনের বাড়িতে তার খোঁজ শুরু করে। এরপর ৫ নভেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে নয়াগ্রাম থানায় গ্রামেরই যুবক বছর পঁচিশের ফাগুন মাণ্ডির বিরুদ্ধে শিশুকন্যাকে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই দ্রুত তদন্ত পক্রিয়া শুরু করে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ঘটনার দিন অভিযুক্ত ফাগুন মাণ্ডি ওই শিশুকন্যাকে নিয়ে গ্রামের একটি মুদি দোকানে যায়। সেখান থেকে চকলেট এবং বিড়ি কেনে। তারপর সেখান থেকে আরও একজনের বাড়িতে গিয়ে তামাক খায়। এছাড়াও পুলিশ গ্রামের আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে। জানতে পারে ফাগুন ওই শিশুকে নিয়ে গ্রামের জমির দিকে গিয়েছিল। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রবীন্দ্র রাউত নামের আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এরপর জেরায় তারা দু'জনই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নেয়। অবশেষে সেই মামলায় দু'বছরের মাথায় মিলল স্বস্তি। বুধবার ধৃতদের মৃত্যুদণ্ডের সাজার নির্দেশ দিল আদালত।