বামেদের দেওয়ালে পদ্মফুল ফোটালেন ভারতী ঘোষ, রাম-বাম জোট নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা

সিপিআইএমের দেওয়াল লিখনের পাশে রং তুলি নিয়ে পদ্মফুল আঁকলেন BJP নেত্রী ভারতী ঘোষ। তাতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। শাসক শিবিরের দাবি রাম-বাম একজোট হয়ে লড়াই করবে।

বামেদের দেওয়ালে পদ্মফুল ফোটালেন ভারতী ঘোষ, রাম-বাম জোট নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
বামেদের দেওয়ালে নিজেদের দলীয় প্রতীক আঁকছেন বিজেপি নেত্রী (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। আর মাত্র ১০ দিনের অপেক্ষা তার পরই শুরু হয়ে যাবে গ্রামবাংলার পঞ্চায়েত দখলের লড়াই। ভোটের ময়দানে পায়ের তলা মাটি শক্ত করতে প্রচারে নেমেছে শাসক বিরোধী উভয় দলই। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে নির্বাচনী প্রচারে নামেন প্রাক্তন IPS অফিসার তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। সিপিআইএমের দেওয়াল লিখনের পাশে রং তুলি নিয়ে পদ্মফুল আঁকলেন BJP নেত্রী ভারতী ঘোষ। তাতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। শাসক শিবিরের দাবি রাম-বাম একজোট হয়ে লড়াই করবে। তাহলে কি সত্যিই এটা রাজনৈতিক সৌজন্য, নাকি রাম-বাম জোট ? যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। 

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই দলীয় সমর্থন আদায় করতে তৎপর গেরুয়া শিবির। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলমিজোড় পশ্চিম বুথের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন ভারতী ঘোষ। সেই সময় ওই এলাকায় চলছিল CPIM-এর দেওয়াল লিখনের কাজ। জানা গিয়েছে, প্রচারে যাওয়ার সময় CPI(M) এর এক কর্মীর হাত থেকে রং তুলি নিয়ে একই দেওয়ালে পদ্মফুল আঁকেন BJP নেত্রী ভারতী ঘোষ। আর এতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 
এটা নিছকই কি রাজনৈতিক সৌজন্য নাকি তৃণমূলের বরাবরের যে দাবি রাম বাম জোট ,তাতেই সম্মতি জানালেন ভারতীয় জনতা পার্টির এই বরিষ্ঠ নেত্রী? যদিও ভারতী দেবী জানান, দেওয়াল লিখন গ্রামীণ রাজনীতির একটি অঙ্গ। এখানে ভেদাভেদের কোনও ব্যাপার নেই। মানুষ তার ইচ্ছামত জায়গায় মতামত দান করবেন।
 

এই বিষয়ে CPIM নেতা লিয়াকৎ আলি জানিয়েছেন, বিজেপি থেকে জিতে মানুষ তৃণমূলে যাচ্ছে, আবার তৃণমূলে জিতে বিজেপিতে যাচ্ছে। তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে কাকে। সিপিআইএমকেই বিশ্বাস করবে। দেওয়াল লিখন একসঙ্গে হলেও লড়াই আলাদা আলাদা হবে। মানুষ যাকে ইচ্ছা তাঁকেই ভোট দেবে। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি জানান, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ভারতী ঘোষ বোঝাতে চেয়েছেন সিপিআই-বিজেপি এক। এরা এক হয়েছে মানুষের উন্নয়নের বিরোধীতা করার জন্য। তবে এখন দেখার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনৈতিক সমীকরণ কোন দিকে গড়ায়!