ফালুদা খেতে মন চাইছে? যেতে হবে না রাজস্থান, মিলবে এই জেলাতেই

বঙ্গে পুরোপুরি গরম পড়তে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। তবে তার আগেই সুদূর রাজস্থান থেকে আগত বেশ কিছু যুবক চলে এসেছেন বাংলার নদীয়া জেলায়

ফালুদা খেতে মন চাইছে? যেতে হবে না রাজস্থান, মিলবে এই জেলাতেই

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: শীত শেষ! পলাশ শিমুলের বসন্ত কবিতায় কাব্যে সঙ্গীত নৃত্যে। বাস্তুবে সকাল দশটার পর থেকে একটু পরিশ্রম হলেই কপালে জমছে ঘাম। তৃষ্ণা  মেটাতে পথের পাশে পোড়াআম লেবু জল বেলের শরবত বিক্রেতারা প্রস্তুত হচ্ছেন। গরমে বেরিয়ে হাঁফিয়ে উঠলে ঠান্ডা পানীয়ে কে-না চাই বলুন একটু গলা ভিজাতে? আর সেটা যদি হয় 'ফালুদা' তাহলে তো কোনও কথায় নেই!  

বঙ্গে পুরোপুরি গরম পড়তে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। তবে তার আগেই সুদূর রাজস্থান থেকে আগত বেশ কিছু যুবক চলে এসেছেন বাংলার নদীয়া জেলায়। এই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যে তাঁরা বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন জনপ্রিয় 'ফালুদা'। তাঁরা জানাচ্ছেন, নদীয়ার এক ব্যবসায়ী মোট তিনটি ভ্রাম্যমান পানীয় বিক্রির এই গাড়ি জেলার তিন প্রান্তের শহর গ্রাম ঘুরে বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের কুলফি, আইসক্রিম , পানীয় শরবৎ তো আছেই, তবে প্রধান আকর্ষণ রাজস্থানের ফালুদা। রাবড়ি ফালুদা, বাদাম আইসক্রিম আরো কত কি সে রাজ্যের নিত্য নতুন পানীয়। দাম একটু বেশি হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় জানাচ্ছেন পথ চলতি ক্রেতারা। 

অত্যন্ত সুন্দরভাবে সুসজ্জিত একটি গাড়ির ওপর চলন্ত এই দোকান সম্পূর্ণভাবে বাতানুকূল। সঙ্গে রাজস্থান থেকে আগত দুজন কর্মী, ড্রাইভারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দুধ ক্ষীর দই , বাদাম পেস্তা কাজু নানান মূল্যবান উপাদান এসব মিলিয়ে খরচ তো একটু বাড়বেই। তবে প্রচলিত দামে হাতের নাগালের মধ্যে লেবু জল, আমপোড়াদের মধ্যে আদৌ কি জায়গা করে নিতে পারবে ভিন রাজ্যের এই পানিয়? তা জানতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে আর কিছুদিন। 

প্রসঙ্গত, ফালুদা হল এমন একটি লোভনীয় পানীয়, যেটা একগ্লাস পান করে তৃষ্ণা মেটে না । গ্লাসের পর গ্লাস পান করতে ইচ্ছে করে । ইতিহাস বলে, ইরান বা পারস্য সম্রাট নাদির শাহের হাত ধরে ভারতে প্রবেশ করেছিল এই পানীয়। তবে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরও নাকি এই পানীয় খুব পছন্দ করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পানীয় অনেক রূপ পরিবর্তন করেছে। ফলে আদতে এটি কোথাকার, সেটা এখন বলা মুশকিল। যদিও এই ফালুদা নিয়ে নানা জনের নানা মত।  তবে এখন ফালুদা জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও। আর একই ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে নদীয়া শহরের ফালুদা।