পুজোর মরশুমে রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, তৎপর প্রশাসন

এদিকে পঞ্চায়েত পৌরসভাগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা, জ্বর ও ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন।  উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট সীমান্ত থেকে সুন্দরবন

পুজোর মরশুমে রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, তৎপর প্রশাসন

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: খাতায় কলমে ভরপুর পুজোর মরশুম। কিন্তু আকাশ-বাতাস বলছে এটা বর্ষাকাল। একদিকে অতি সক্রিয় নিম্নচাপের জেরে দুর্যোগের ফলা বঙ্গে, অন্যদিকে মরশুম বদলের এই সময়ে রাজ্যজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত্রের সংখ্যা। গত কয়েকদিন ধরে হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। যা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশানের। 

এদিকে পঞ্চায়েত পৌরসভাগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা, জ্বর ও ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন।  উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট সীমান্ত থেকে সুন্দরবন, ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যে স্বরূপনগর সারাফুল হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা। অন্যদিকে, সন্দেশখালি ঘোষপুর হাসপাতালে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি। 

এ বছরের বৃষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট কম। তার ওপরে পুজোর আগে ডেঙ্গি চোখ রাঙাচ্ছে। ইতিমধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা প্রশাসনিক আধিকারিকরা নড়েচড়ে বসেছেন। একদিকে যেমন পঞ্চায়েত পৌরসভাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের। পাড়ায় ও গ্রামে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রক্ত ও লালা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তাদের মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিকানা এবং চিহ্নিত করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। স্বরুপনগর সারাফুল হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জয় পাত্রে বলেন, ''আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে আগেভাগেই আমরা ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছি। স্বাস্থ্যকর্মী সহ হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।''

তিনি আরও বলেন,  ''ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের মশারির মধ্যে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি ও জ্বরের সচেতনতার বার্তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারের জন্য লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। কেউ অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই এই জ্বরটা যেন কোনও রকম ভাবে বাড়তে দেওয়া যাবে না। ডেঙ্গির একটু প্রকোপ রয়েছে এই সময়টা যেহেতু ঋতু পরিবর্তন হয়। যার ফলে একটু সাবধানে থাকার বার্তা দিচ্ছি।''

 উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ''ঋতু পরিবর্তন ও সামনে দুর্গাপুজো সমস্ত ক্লাব সংগঠনগুলি উদ্যোক্তাদের ডেঙ্গি সচেতনতা বার্তা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বড় বড় ফেস্টুন প্লাকার্ড রাখতে বলা হয়েছে প্যান্ডেলের গায়ে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত পৌরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ডেঙ্গি মোকাবিলা করার জন্য সবরকম পরিস্থিতি আমরা নজরে রেখেছি।''