সেতু আছে নেই রাস্তা, চরম সমস্যায় কয়েক হাজার গ্রামবাসী

সিঙ্গুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আথালিয়া গ্রামের রাস্তার বেহালদশা। পিচ উঠে রাস্তার চারপাশে বেরিয়ে রয়েছে পাথর।

সেতু আছে নেই রাস্তা, চরম সমস্যায় কয়েক হাজার গ্রামবাসী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সেতু নির্মাণ হলেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ। ফলে বিপাকে পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। জানা গিয়েছে, পশ্চিম গঙ্গাসাগর থেকে রাধানগর যাওয়ার সেতুর সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণ না হ‌ওয়ায় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বালুঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম গঙ্গাসাগর ও রাধানগর গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে কাশিয়া খাঁড়ি। আত্রেয়ী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত এই খাড়িতে বর্ষাকালে প্রচুর জল হয়। সেখানে কোনও সেতু না থাকায় চরম সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবিতে জলঘর পঞ্চায়েত সমিতি সেখানে একটি সেতু নির্মাণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে শুধুমাত্র সংযোগকারী রাস্তা না করায়। 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করা হয়নি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের মাচার উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। গাড়ি না চলায়, কৃষিজাত ফসল নিয়ে যাওয়া থেকে অসুস্থ রোগীদের এবং ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ওই সংযোগকারী রাস্তার কাজ চলছিল। কিন্তু ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র সরকার টাকা বন্ধ করে দেওয়ায়, টাকার অভাবে ওই কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

অন্যদিকে, সিঙ্গুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আথালিয়া গ্রামের রাস্তার বেহালদশা। পিচ উঠে রাস্তার চারপাশে বেরিয়ে রয়েছে পাথর। সমস্যায় প্রায় কয়েক হাজার গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় প্রসাশনকে জানিয়ে মিলেছে আশ্বাস। কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্যদিকে, রাস্তার পাশে রয়েছে ইলেকট্রিক পোস্ট। নেই কোনও লাইটের ব্যবস্থা। রাত হলেই রাস্তার দুপাশে বালি খাদ থাকায় ভয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা জানান, রাস্তার যা অবস্থা যাওয়া যায় না। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাজনৈতিক কারনে রাস্তা নিয়ে খেলা চলছে। 

গ্রামবাসী অনুপ ঘোষ বলেন, ''ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। নেতাদের বলা হয়েছে কিছু করছে না। বাচ্চাদের পাঠিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। কেউ যদি খাদে পড়ে যায় আর কিছু করার নেই।'' বিজেপির মন্ডল সভাপতি তারাপদ ঘোষ বলেন, ''রাস্তা নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। পঞ্চায়েত ও বিডিও'র কাছে ডেপুটেশন দিয়ে ছিলাম। কোনও কাজ হয়নি।''

এই বিষয়ে গোবিন্দ ধাড়া সিঙ্গুর ব্লক  TMC সভাপতি বলেন, ''দুপাশে বালির খাদের জন্য বেহাল হয়ে আছে। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটা হবে। কেন্দ্র সরকার ঠিক মতো টাকা দিচ্ছে না। রাজ্যসরকারের টাকার অন্য রাস্তার কাজ চালু হচ্ছে। পোস্টে লাইট না থাকলে সেটা পঞ্চায়েতের ব্যপার। ভোটের আগে লাইট লাগিয়ে দেবে।''