রামনবমীতে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা BJP'র রাজ্য সভাপতির, তুলকালাম পুলিশের সঙ্গে

শিবপুরে সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে, পাল্টা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রামনবমীতে আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা BJP'র রাজ্য সভাপতির,  তুলকালাম পুলিশের সঙ্গে
হাওড়ার শিবপুরে সুকান্ত মজুমদার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্তিতে গত দু'দিন ধরে থমথমে Howrah জেলার শিবপুর এলাকা। চলছে পুলিশি টহল, ব্যারিকেড। এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে রবিবার শিবপুরে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে পুলিশি বাধা দেওয়া হয় BJP-র রাজ্য সভাপতি Sukanata Majumder'কে। 

জানা গিয়েছে, শিবপুরে সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে, পাল্টা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ বলেও এদিন সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশের সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। শুধু তাই নয়, শিবপুরকাণ্ডে CID-তে ভরসা নেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার। 

সূত্রের খবর, অশান্তির রেশ কাটিয়ে ধীরে-ধীরে স্বাভাবিকের পথে ফিরছে শিবপুর এলাকা। শিবপুরের বিভিন্ন রাস্তায় এখনও চলছে পুলিশি টহল, ড্রোন নজরদাড়ি। এদিন সকালেও শিবপুরের কাজিপাড়া মোড়ে ছিল পুলিশের ব্যারিকেড, সুকান্তকে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এদিকে শিবপুরকাণ্ডে ২টি এফআইআর রুজু ও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৮ জনকে। যদিও গোটা ঘটনায় যুযুধান শাসক-বিরোধী তরজা। একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই।

প্রসঙ্গত, শুক্রবারও দুপুরের পর পুনরায় অশান্ত হয়ে ওঠে শিবপুর এলাকা। ঘটনার তদন্ত ভার হাতে নেয় CID। শনিবার এলাকা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। তদন্তের নেতৃত্ব দেন আইজি সিআইডি বিশাল গর্গ ও ডিআইজি সিআইডি সুখেন্দু হীরা। তাঁরা নিজস্ব ফটোগ্রাফার নিয়ে এলাকায় ঘোরেন। স্টিল ছবির পাশাপাশি চলে ভিডিয়োগ্রাফি। ড্রোন উড়িয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ও দোকান পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। এদিকে এই  অশান্তির জেরে শিবপুরের একাধিক এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। রবিবার আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে হাওড়ার শিবপুরে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।