মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে জোড়া সোনা, মালদহের তনুশ্রীর

আগামী বছর মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড অ্যাথলিট চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনি অংশ নিতে চান বলেই জানান তিনি।

মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে জোড়া সোনা, মালদহের তনুশ্রীর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে দেশকে জোড়া সোনা এনে দিলেন মালদার তনুশ্রী লালা। ব্যক্তিগত তিনটি ইভেন্টের মধ্যে একটিতে সোনা ও দু’টিতে রুপো পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও দলগত একটি ইভেন্টেও সোনা জিতেছেন। তাঁর এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মালদহের ক্রীড়ামহল।

 আগামী বছর মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড অ্যাথলিট চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনি অংশ নিতে চান বলেই জানান তিনি। সেখানেও তিনি দেশের নাম উজ্জ্বল করবেন বলেই আশাবাদী তনুশ্রী।  এর জন্য যে অর্থ লাগবে, সেটা জোগাড় করতে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লি বাবুজি কলোনির বাসিন্দা তনুশ্রী লালা জাতীয় স্তরের মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে একাধিক সোনা সহ অন্যান্য পদক জিতেছেন।

 চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চেন্নাইতে আয়োজিত ন্যাশনাল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো ফলের সুবাদে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার সুযোগ পান তনুশ্রী। গত ৩ ও ৪ ডিসেম্বর মালেশিয়ার কুয়ালালুমপুরে ইউনিভার্সিটি মালাইয়া স্টেডিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মোট ১৫টি দেশ অংশগ্রহণ করে। সেখানে ব্যাক্তিগত ২ কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছেন তনুশ্রী লালা। এছাড়াও ব্যাক্তিগত দেড় কিলোমিটার দৌড় ও ৮০০ মিটার দৌড়ে রূপো পেয়েছেন। দলগত ৪০০ মিটার রিলে রেসে সোনা জয় করেছেন। মালদহ শহরের বাসিন্দা তনুশ্রী লালার স্বামী সুব্রত লালা। তিনি পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী। পরিবারের রয়েছে দুই ছেলে। পরিবার ও সংসার সামলে স্ত্রীর এমন সাফল্য খুশি সকলেই। এমনকি আগামীতে আরও সাফল্য কামনা করেছেন সোনার মেয়ের স্বামী। 

রবিবারই মালয়েশিয়া থেকে মালদহ ফিরেছেন তনুশ্রী। তিনি জানিয়েছেন, এই সাফল্যের আনন্দ ভাষা ব্যক্ত করতে পারব না। একটা অভূতপূর্ব অনুভূতি হচ্ছে। অনেক সংগ্রামের পর শেষে বিদেশে গিয়ে খেলতে পারলাম এবং সেই সঙ্গে সোনাও জিতে অসম্ভব ভালো লাগছে। তিনি জানান, আগামী দিনে আরও অনেক ইভেন্ট রয়েছে।

এরপর দক্ষিণ কোরিয়ায়ওয়ার্ল্ড অ্যাথলিট চ্যাম্পিয়নশিপ আছে আগামী বছর মার্চ মাসে। সেখানে তনুশ্রী যেতে চান বলেই জানান। সেজন্য আজ থেকেই প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে এর জন্য প্রচুর অর্থের দরকার। সবাইকে তাঁর এই কর্মযজ্ঞে হাত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তিনি জেলা তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করতে সকলকে তাঁর পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।