বলাগড়ে TMC বিধায়কের দফতরে ভাঙচুর, মনোরঞ্জন ফোঁস করতেই পুলিশের দুয়ারে রুনা

গতকাল তৃণমূল বিধায়কের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে রুনার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও হামলা হয়। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন...

বলাগড়ে TMC বিধায়কের দফতরে ভাঙচুর, মনোরঞ্জন ফোঁস করতেই পুলিশের দুয়ারে রুনা
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: উত্তপ্ত বলাগড়। ফেসবুকে বেলাগাম বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। রুনা খাতুনকে কুরুচিকর মন্তব্য করার জের। এবার বিধায়কের বিরুদ্ধে বলাগড় থানায় অভিযোগ করলেন দলেরই যুবনেত্রী । গতকাল থেকে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলছিল। বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ফেসবুক পোস্টে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ, বালি, মাটি পাচারের অভিযোগ করেন। পাল্টা রুনা তোপ দাগেন, বিধায়ক জনগণের কাজ না করে ব্যক্তি কুৎসা এবং দলকে হেয় করতে চাইছেন বলে।

এরপরেই বিধায়ক সামাজিক মাধ্যমে লেখেন ৭ তারিখ দলীয় কার্যালয়ে বসে ফেসবুক লাইভ করে এর শেষ জবাব দেবেন। এরপরেই গতকাল তৃণমূল বিধায়কের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে রুনার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও হামলা হয়। এরপরেই বিধায়ক বেনজির আক্রমণ করেন রুনাকে। সেখানে তিনি ব্যবহারের অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ করেন যুব নেত্রীকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ বলাগড় থানায় এসে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে যান দলেরই সদস্যা রুনা খাতুন। তিনি বলেন, ''পুরো নারী জাতিকে অপমান করেছে। তিনি আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তার কোনও প্রমাণ তার কাছে নেই। তিনি ফেসবুকে না লিখে থানায় বা দলকে জানাতে পারতেন। তার সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই। তিনি শুধু দলকে বদনাম করার জন্য এটা করছেন। আমার মনে হয় উনি বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অথবা কোন ব্যবসায়ী হাতে বলাগড়কে তুলে দিতে চাইছেন অসৎ উদ্দেশ্যে।'' 

এত কিছুর মধ্যেই নতুন করে বুধবার সকালে ফের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সেখানে তিনি লেখেন, ''আমাকে চোর, খুনি, ধর্ষক বলে আক্রমণ করা হয়েছিল, তাই আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। এমন একটা বাজে শব্দ লিখে ফেলি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝতে পারি মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে। সাথে সাথে সেটা মুছে দি। কয়েকজন আছে যারা শকুনের মতো আমার প্রোফাইলে নজর পেতে বসে থাকে। তারা সেটার স্ক্রিনশট নিয়ে নেয় এবং আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে থাকে। অনেকেই আমার কাছে জানতে চাই এটা কেন লিখেছি, তাদের জানাচ্ছি এটা আমার একটা মস্ত বড় ভুল হয়েছে। এমনটা লেখা সত্যিই আমার উচিত হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিত হয়নি আমি একজন লেখক। ওদের মতো মিচুয়াল নিকৃষ্ট জীব নই। আমার পাঠক প্রিয়জন, পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষের সমস্ত পরিচিত অপরিচিত সবার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।''