বিধায়কের অফিস চত্বরে রুটমার্চ পুলিশের

কুরুচিকর মন্তব্য করায় থানায় অভিযোগ নেত্রীর

বিধায়কের অফিস চত্বরে রুটমার্চ পুলিশের

সোশ্যাল মিডিয়ায় রুনা খাতুনকে কুরুচি করার মন্তব্য করেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলে অভিযোগ। যার জেরে বিধায়কের বিরুদ্ধে বলাগড় থানায় অভিযোগ করলেন দলেরই যুব নেত্রী রুনা। বুধবার মধ্যরাতে বিধায়কের কার্যালয় এবং তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য চম্পা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় কিছু দুষ্কৃতী বলে মনোরঞ্জনবাবুর অভিযোগ। এই ঘটনার পর বিধায়কের অফিস চত্বরে রুটমার্চ শুরু করে বলাগড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। টানটান উত্তেজনা রয়েছে বলাগড় এলাকায়। 

গতকাল বুধবার থেকে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলছি তৃণমূলের অন্দরেই। বিধায়ক হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য রুনার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ, অর্থাৎ বালি ও মাটি পাচারের অভিযোগ তোলা হয়। পাল্টা রুনা তোপদাকেন, বিধায়ক জনগণের কাজ না করে ব্যক্তি কুৎসা এবং দলকে হেয় করতে চাইছেন। এরপরেই বিধায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ৭ তারিখ দলীয় কার্যালয়ে বসে ফেসবুক লাইভ করে এর শেষ জবাব দেবেন। এরপরেই গতকাল তৃণমূল বিধায়কের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে রুনার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও হামলা করা হয়। এরপরেই বিধায়ক বেনজির আক্রমণ করেন রুনাকে। সেখানে তিনি ব্যবহারের অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ করেন যুব নেত্রীকে। এদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ বলাগড় থানায় এসে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান রুনা খাতুন। তিনি অভিযোগ করেন, পুরো নারী জাতিকে অপমান করেছে। তিনি আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তার কোন প্রমাণ তার কাছে নেই। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় না লিখে থানায় বা দলকে জানাতে পারতেন । তার সঙ্গে আমার কোন শত্রুতা নেই তিনি শুধু দলকে বদনাম করার জন্য এটা করছেন। আমার মনে হয় উনি বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অথবা কোন ব্যবসায়ী হাতে বলাগরকে তুলে দিতে চাইছেন অসৎ উদ্দেশ্যে।

এত কিছুর মাঝেই নতুন করে সকালে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিধায়ক মনোরঞ্জন বেপারী। সেখানে তিনি লেখেন, আমাকে চোর, খুনি, ধর্ষক বলে আক্রমণ করা হয়েছিল, তাই আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। এমন একটা বাজে শব্দ লিখে ফেলি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝতে পারি মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে। তক্ষনাৎ সেটা মুছে ফেলি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে। কয়েকজন আছে যারা শকুনের মতো আমার প্রোফাইলে নজর পেতে বসে থাকে। তারা সেটার স্ক্রিনশট নিয়ে নেয় এবং আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে থাকে। অনেকেই আমার কাছে জানতে চায় এটা কেন লিখেছি, তাদের জানাচ্ছি এটা আমার একটা মস্ত বড় ভুল হয়েছে। এমনটা লেখা সত্যিই আমার উচিত হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিত হয়নি যে আমি একজন লেখকও। ওদের মতো মিচুয়াল নিকৃষ্ট জীব নই। আমার পাঠক প্রিয়জন, পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষের সমস্ত পরিচিত অপরিচিত সবার কাছে আমি ক্ষমা পার্থনা করছি।

এই ঘটনার পর বিধায়কের অফিস চত্বরে রুটমার্চ শুরু করে বলাগড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি দেবীদয়াল কুণ্ডু, সিআই মগরা শ্যামল চক্রবর্তী, ওসি বলাগর থানার কিরণ মুখোপাধ্যায়ও রুটমার্চের নেতৃত্ব দেন। এদিন পুলিশের র‍্যাফ জিরাট হাসিমপুর, হসপিটাল রোড, আহমেদপুর হয়ে বিরাট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রুট মার্চ চলে।