গঙ্গায় মাছের জোগান ঠিক রাখতে অভিনব উদ্যোগ

গঙ্গায় মাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে গঙ্গায় জাল ফেলে যে সব মাছ নিয়মিত ধরা হয় যেমন, রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবোস ইত্যাদি ভয়ঙ্করভাবে কমে যাচ্ছে।

গঙ্গায় মাছের জোগান ঠিক রাখতে অভিনব উদ্যোগ

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: গঙ্গায় কমছে মাছের জোগান। মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে ডিমপোনার পরিমাণও। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন গঙ্গা নির্ভর দেশের লক্ষাধিক মৎস্যজীবী। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলজ বাস্তুতন্ত্র। এই অবস্থায় এবার গঙ্গার হাল ফেরাতে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হল গঙ্গা নদীতে। কেন্দ্রীয় ইনল্যান্ড ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

ন্যাশনাল রাঞ্চিং প্রোগ্রাম ২০২২ সফল করার উদ্দেশে হুগলি জেলার বলাগড় থানার বলাগড়ের গঙ্গা,ভাগীরথী ও হুগলি নদীতে সামগ্রিক মৎস্য বিকাশের জন্য নমামী গঙ্গে কর্মসূচির অধীনে একটি গন-সচেতনতা কর্মসূচী এবং মৎস্য পুনর্জীবি করন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এন এম সি জির পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল গঙ্গা নদীর মৎস্য বৈচিত্রের অনুসন্ধান। রুই, কাতলা, মৃগেল কালবাউস মাছের মজুত সমীক্ষা মূল্যায়নের পাশাপাশি নির্বাচিত মৎস্য প্রজাতির বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষন এই প্রকল্পের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য। 

এদিন মাঝ নদীতে ট্রলারে করে ১ লাখ ১৫ হাজার মাছের চারা ছাড়েন মৎস্য আধিকারিক সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা। এছাড়াও গঙ্গা নদীর ডলফিন নিয়েও সচেতন করা হয় স্থানীয় মৎস্যজীবীদের। এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে এক মৎস্য বিজ্ঞানী জানান, বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গা নদী থেকে ৬০ লক্ষ মাছ ছাড়া হচ্ছে। আজ প্রায় ১ লক্ষ্য ১৫ হাজার মাছ ছাড়া হয়েছে। এর ফলে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে এবং গঙ্গার যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা রয়েছেন তারা স্বনির্ভর হবেন। ভারত সরকারের নমামী গঙ্গ প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে এই কাজ চলছে। মাঝেমধ্যেই গঙ্গায় ডলফিন ও শুশকের দেখা পাওয়া যায়। তাদের না মারার জন্য মৎস্যজীবীদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি। 

ন্যাশনাল রাঞ্চিং প্রোগ্রাম ২০২২ সফল করার উদ্দেশে হুগলি জেলার বলাগড় থানার বলাগড়ের গঙ্গা,ভাগীরথী ও হুগলি নদীতে সামগ্রিক মৎস্য বিকাশের জন্য নমামী গঙ্গে কর্মসূচির অধীনে একটি গন-সচেতনতা কর্মসূচী এবং মৎস্য পুনর্জীবি করন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এন এম সি জির পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল গঙ্গা নদীর মৎস্য বৈচিত্রের অনুসন্ধান। রুই, কাতলা, মৃগেল কালবাউস মাছের মজুত সমীক্ষা মূল্যায়নের পাশাপাশি নির্বাচিত মৎস্য প্রজাতির বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষন এই প্রকল্পের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য। এদিন মাঝ নদীতে ট্রলারে করে ১ লাখ ১৫ হাজার মাছের চারা ছাড়েন মৎস্য আধিকারিক সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা।

 এছাড়াও গঙ্গা নদীর ডলফিন নিয়েও সচেতন করা হয় স্থানীয় মৎস্যজীবীদের। এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে এক মৎস্য বিজ্ঞানী জানান, বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গা নদী থেকে ৬০ লক্ষ মাছ ছাড়া হচ্ছে। আজ প্রায় ১ লক্ষ্য ১৫ হাজার মাছ ছাড়া হয়েছে। এর ফলে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে এবং গঙ্গার যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা রয়েছেন তারা স্বনির্ভর হবেন। ভারত সরকারের নমামী গঙ্গ প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে এই কাজ চলছে। মাঝেমধ্যেই গঙ্গায় ডলফিন ও শুশকের দেখা পাওয়া যায়। তাদের না মারার জন্য মৎস্যজীবীদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি। 

এদিকে লাগাতারভাবে জলদূষণ, গঙ্গায় বর্জ্য ফেলা, যথেচ্ছভাবে জিরো নেট ব্যবহার করে মাছ ধরা, জলের তলায় ডিনামাইট ফাটানো, বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দিয়ে নদীর স্বাভাবিক স্রোতকে বাধা দেওয়া প্রভৃতি কারণে গঙ্গায় মাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে গঙ্গায় জাল ফেলে যে সব মাছ নিয়মিত ধরা হয় যেমন, রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবোস ইত্যাদি ভয়ঙ্করভাবে কমে যাচ্ছে। মাছের সংখ্যা যে কমছে, তা গঙ্গাবক্ষে প্রাকৃতিক ডিমপোনা হ্রাসের পরিমাণ দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়।