আরজি করের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড সঞ্জয়! তদন্তে লালবাজার

নিহত জুনিয়ার মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে মর্মান্তিক যে ঘটনাটি ঘটেছে সেমিনার হলের থার্ড ফ্লোরে, ইতিমধ্যেই ওই  জায়গার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানুন বিস্তারিত...

আরজি করের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড সঞ্জয়! তদন্তে লালবাজার
file image

অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে ৪ দিন পার, এখনও উত্তাল রাজ্য। পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের তদন্তে এবার কড়া পদক্ষেপ লালবাজারের। সঞ্জয় রায় কি একাই জড়িত? নাকি তাকে কেউ পাঠিয়েছিল? জানতে তদন্তে লালবাজার। 

আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে এবার আরও শক্তি বাড়ল কলকাতা পুলিশের। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত দ্রুত সেই ধোয়াশাঁ কাটাতে সোমবার ডেডলাইন বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই তৎপর লালবাজার। শুধু ঘটনাস্থলের-ই নয়, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। নিহত জুনিয়ার মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে মর্মান্তিক যে ঘটনাটি ঘটেছে সেমিনার হলের থার্ড ফ্লোরে, ইতিমধ্যেই ওই  জায়গার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখন ইমারজেন্সি বিভাগের অন্যান্য ফ্লোরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের তদন্তও শুরু হয়েছে। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/CM-Mamata-Banerjee-visits-the-RG-Kar-medical-college-victim-Family

পুলিশ গত ৩০ দিনের অর্থাৎ গত ১ মাসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। ধৃত সঞ্জয় রায়ের গত এক মাসে হাসপাতালের যা যা করেছে সেই গতিবিধির দিকে সিসিটিভির মধ্য দিয়ে বিশেষ নজর দেবে কলকাতা পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে সঞ্জয় কোথায় এবং কেন হাসপাতালে গেছেন তা জানতে চায় পুলিশ। কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরে পড়লেই সেখানেই তদন্তে করবে কলকাতা পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঘটনার দিন সঞ্জয়ের সঙ্গে কী আরও অন্য কেউ ছিল? ঘটনাস্থলে আগে থেকে অন্য কেউ উপস্থিত ছিল? সঞ্জয় কী ফোনের মাধ্যমে কারও সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? কেউ কী সঞ্জয়কে ফোন করে এই ঘটনা ঘটাতে বলেছিল?

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/lalbazar-issues-Summons-four-junior-doctor-on-Tuesday

প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না, অভিযুক্তকে কেউ পাঠিয়েছিল কিনা বা এর পিছনে কারণ কী তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গত এক মাসে সংঘটিত সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখছে পুলিশ। শুধু সঞ্জয় নয়, হাসপাতালে কখন কারা আসা-যাওয়া  করছে, সবার উপর নজর রাখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই, তদন্ত আরও জোরদার করতে সিটের সদস্য সংখ্যা ৭ থেকে একধাক্কায় বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। কাজ চলবে তিন শিফটে। লক্ষ্য একটাই, কার কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল সঞ্জয়ের? আরজি কর কাণ্ডের পিছনে আর কোন বড় মাথা আছে? কারও অঙ্গুলি হেলনেই কী এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? সব মিলিয়ে এখন দেখার কলকাতার এই নামজাদা হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণী খুনের সুবিচার কত দিনে হয়।