Sandip Ghosh News: কতটা প্রভাবশালী সন্দীপ ঘোষ, তথ্য তালাশে প্রাক্তন অধ্যক্ষের একাধিক ঠিকানায় ED

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আরজি করে দুর্নীতির রহস্য সমাধানে সিবিআইয়ের পর এবার ইডির নজরে সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে একসঙ্গে শহরের তিন জায়গায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। নিউটাউন সংলগ্ন হাতিয়ারার নোয়াপাড়া মল্লিক বাগানে সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক বাড়িতে হানা ইডির। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের মা ও বাবা থাকতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের। তবে আরজি করের ঘটনার পর থেকেই এই বাড়িতে আর কেউই থাকেন না। একই সঙ্গে টালায় সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী চন্দন লৌহের বাড়িতেও অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের আমলে ক্যান্টিনের টেন্ডার পেয়েছেন তিনি। সেই টেন্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রেও উঠে এসেছে দুর্নীতির অভিযোগ। তার সূত্র ধরেই এদিনের এই অভিযান বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, কালিন্দীর একটি ওষুধের দোকানে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি। 

অন্যদিকে, দু'দিন পেরিয়ে গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে এখনও ধর্নায় বসে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। দফায় দফায় ইমেল চালাচালি হয়েছে নবান্ন ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে। কিন্তু বৈঠক নিয়ে জট এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে হাজির ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বুধবার ফের আবেদন করে রাজ্য সরকার। তবে চিকিৎসকদের শর্ত নিয়ে আপত্তি আছে নবান্নের। 'সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে আমরা মান্যতা দেব।' এবার জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত রাজ্য সরকারের। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Manik-Bhattacharya-gets-bail-from-ssc-scam-case

রাজ্য সরকারের তরফে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পরও নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। ডাক্তারদের দাবি, খোলা মনে আলোচনার কিছু নেই। আগে তাঁদের দেওয়া পাঁচ শর্ত  মানতে হবে রাজ্যসরকারকে। তাদের দাবি মেনে নিলেই তবে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হতে পারেন বলে এমনটা আভাস দিয়েছেন। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের চিঠিতে বরফ না গললে বুধবার বিকেলে আসরে নামেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চিকিৎসকদের নবান্নে এসে আলোচনায় বসার বার্তা দিয়ে জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টকে মেইল করেন তিনি।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Judges-in-insecurity-complaints-of-attacks-on-residences-as-they-do-not-like-verdicts

মেইলে বলা হয়, 'বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নবান্নে আসুন। ১০/১২ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে আপনারা নবান্নে আসতে পারেন। আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি।' যদিও মুখ্যসচিবের মেইলে চিঁরে যে ভেজেনি তার আভাস কিছুক্ষণ পর ডাক্তারদের তরফে পাল্টা মেইলে বোঝা গিয়েছিল। নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, ১০-১২ জন নয়। অন্তত ৩০ জন চিকিৎসক প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় বলে জানান মেইলের উত্তরে। জুনিয়র ডাক্তারদের মেইলের জবাব পাওয়ার পর ফের সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই বৈঠক থেকে সুপ্রিম ডেডলাইন মনে করিয়ে দিয়ে ফের আরও একবার নমনীয় সুরে ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।