খাস কলকাতায় তরুণীর অর্ধ-ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য, উধাও সঙ্গী যুবক

শহরের একটি পানশালায় নর্তকী হিসেবে তিনি কর্মরতা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে বাস করতেন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। জানুন বিস্তারিত...

খাস কলকাতায় তরুণীর অর্ধ-ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য, উধাও সঙ্গী যুবক
file image

অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তরুণী। পাশেই পড়ে একটি কাপড়। গলায় দাগ। ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। বুধবার সকালে ১০০ ডায়ালে খবর পেয়ে তিলজলার বিলুর মাঠ এলাকার একটি আবাসনে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখতে পেল পুলিশ। তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/Abhishek-Banerjee-challenge-to-Central-to-publish-white-paper-on-Awas-Rega

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃতার নাম ২৫ বছর বয়সী মীনা কুয়ার। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা তিনি। শহরের একটি পানশালায় নর্তকী হিসেবে তিনি কর্মরতা ছিলেন। সেই কারণেই তিলজলার ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে বাস করতেন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি মৃতার বোনকে ফোন করে জানান, মীনা আত্মঘাতী হয়েছেন। 

তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর প্রেমিককে দেখতে পাননি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি চম্পট দিয়েছেন। কেন ওই যুবক চম্পট দিলেন? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তরুণীর লিভ-ইন পার্টনারের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃত্যু ঠিক কী কারণে? তা জানতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তিলজলা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/West-Bengal-Government-take-special-initiative-for-wasting-water

বছর দু’য়েক ধরেই কলকাতায় থাকছিলেন মীনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেক রাতে ফিরতেন তিনি। স্থানীয় ‘অশোকা’ পানশালায় কাজ করতেন মীনা। সেখানেই ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। সাত মাস আগে তিলজলার ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন যুগল। এদিন সকালে ওই যুবকের কাছ থেকে ফোন পান মৃতার বোন। তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। বোনের আত্মহত্যার খবর দিয়েই ফোন কেটে দেন যুবক। 

এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মীনার বোন। ফ্ল্যাটের এক প্রতিবেশী গিয়ে দেখেন, দরজা হাট করে খোলা। মেঝেতে পড়ে রয়েছেন মীনা। এরপরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক আধিকারিকরা গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/Police-arrested-the-main-accused-in-the-case-of-the-rampage-at-the-bar-in-Anandpur-from-the-secret-place-in-Kharki

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন মীনা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ তদন্তকারীরা। ঘটনাটি আত্মহত্যা হলে লিভ-ইন পার্টনার কেন চম্পট দিলেন? তাঁর ফোন নম্বর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেটির লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু থেকে শহরে আসছেন মৃতার বোন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।