বকুনি দিয়েছিল মা, অভিমানে চরম পরিণতি নাবালিকা ছাত্রীর

মৃত নাবালিকার মা বিসামুনি হেমব্রম বলেন, "শুক্রবার মেয়েকে বকা দিয়েছিলাম তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মেয়ে।

বকুনি দিয়েছিল মা, অভিমানে চরম পরিণতি নাবালিকা ছাত্রীর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: প্রায় পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিল ঘরের মেয়ে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি কোনও খোঁজ। অবশেষে মঙ্গলবার জঙ্গলের মধ্যে থেকে নাবালিকা ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই নাবালিকার নাম খুশি মুর্মু (১৫)। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর,  গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। কুমারগঞ্জ ব্লকের পলি পাড়া আদিবাসী পাড়ায় বাড়ি তার। মঙ্গলবার সকালে এলাকার একটি ঝোপের ধারে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ব্যক্তি প্রথমে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহটি দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হতেই মুহূর্তে ভির জমতে থাকে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ বাহিনী।

এদিকে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মৃত নাবালিকার মা বিসামুনি হেমব্রম বলেন, "শুক্রবার মেয়েকে বকা দিয়েছিলাম তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মেয়ে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের খোঁজ মেলেনি।"

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মায়ের বকুনিতে অবসাদগ্রস্ত হয়েই আত্মঘাতী হয়েছে ওই নাবালিকা। যদিও আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।