গা ঢাকা দিয়ে হল না লাভ, আনন্দপুরের পানশালায় তাণ্ডবের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত

বুধবার আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে এই ঘটনায় অন্য দুই অভিযুক্ত দীপঙ্কর দাস ও মহিন্দ্র প্রসাদ গুপ্তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি সঞ্জয়ের। জানুন বিস্তারিত...

গা ঢাকা দিয়ে হল না লাভ, আনন্দপুরের পানশালায় তাণ্ডবের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত
file image

অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: সুন্দরবনে পালিয়ে গিয়েও লাভ হল না। গোপন ডেরায় ফিরতেই পুলিশের জালে বাইপাসের পানশালা ভাঙচুরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৩২ বছর বয়সী সঞ্জয় দাস। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুণ্ডাদমন শাখার যৌথ টিম। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। 

এই ঘটনায় মঙ্গলবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল তদন্তকারীরা।  বৃহস্পতিবার ভোররাতে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মোট চার দুষ্কৃতীকে জালে তুলেছেন তাঁরা। তবে এখনও অনেকে পলাতক রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/West-Bengal-Government-take-special-initiative-for-wasting-water

সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আনন্দপুর থানা এলাকার টেগর পার্কে বাইপাসের ধারে একটি পানশালায় তাণ্ডব চালায় ১৪-১৫ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। ভেঙে দেওয়া হয় ৭-৮টি গাড়ি, একাধিক বাইক। পানশালার ভিতরেও লাঠি, রড নিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতী বাহিনী। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নামে পুলিশ। তা থেকেই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে চিহ্নিত করতে পারেন তদন্তকারীর। তবে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার পরেই এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছে সে। বুধবার আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে এই ঘটনায় অন্য দুই অভিযুক্ত দীপঙ্কর দাস ও মহিন্দ্র প্রসাদ গুপ্তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি সঞ্জয়ের।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/Abhishek-Banerjee-challenge-to-Central-to-publish-white-paper-on-Awas-Rega

গোপন সূত্র মারফত তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সোনারপুরের খড়কিতে সঞ্জয়ের একটি গোপন ডেরা রয়েছে। সেখানেই প্রাথমিকভাবে আশ্রয় নিয়েছিল সে। মঙ্গলবার সকালে সেখানে অভিযান চালান গুণ্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। পুলিশ আসার খবর আগে থাকতেই পেয়ে যায় সঞ্জয়। গাড়ি ভাড়া করে সুন্দরবনে গা ঢাকা দেয় সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে সঞ্জয়ের এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই ছিল সে।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/Lalbazar-Letter-to-KMC-due-to-Road-management
 
গোপন তথ্য মারফত সেই খবর পেয়ে যান গোয়েন্দারা। সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিসের ধাওয়া করার সেই তথ্যও কোনও ভাবে পৌঁছে যায় সঞ্জয়ের কানে। এরপরেই দ্রুত প্ল্যান বদলায় সে। সুন্দরবন থেকে ফের আনন্দপুর হয়ে চৌবাগা পেরিয়ে সোনারপুরের খড়কিতে গোপন ডেরায় ফিরে আসে। সেখানেই বুধবার সন্ধ্যায় হানা দেয় আনন্দপুর থানার পুলিস। খড়কি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। 

বৃষ্টিভেজা রাতে পানশালায় কেন এই হামলা চালাল সে? কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই কাণ্ড নাকি তোলা চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া কি না, তা জানতে হেফাজতে নিয়ে তাকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা।