হড়পা বানে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ-উত্তরাখণ্ড, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ৭
সোলানে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আরও কয়েক জনকে। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে বিপাশা নদী। যার জেরে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও।

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: গত কয়েকদিন ধরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। একটানা ভারী বৃষ্টি চলছে উত্তরাখণ্ডেও। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফুঁসছে হরিদ্বারের গঙ্গাও। রবিবার রাতে হিমাচলের সোলানে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আরও কয়েক জনকে। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে বিপাশা নদী। যার জেরে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও। মুহুর্মুহু পাহাড়ি ধসে জনজীবন ব্যাহত এই দুই রাজ্যে।
প্রবল বৃষ্টিতে সোমবার সিমলার একটি মন্দির ধসে গিয়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হড়পা বানের জেরে অন্তত দু'টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, আগামী ২৪ ঘণ্টাও প্রবল বৃষ্টি হবে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। একই সঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।
সোমবার হিমাচল প্রদেশের ছ'টি জেলায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই রাস্তায় জল জমে রাজ্যের একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ধসের কারণে রাস্তা আটকে বিপদে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দুই রাজ্যের মোট ৬২১টি রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। কোথাও মেরামতির কাজ চলছে। কোথাও বৃষ্টির কারণে সম্ভব হচ্ছে না তা-ও। শুধু শিমলাতেই ৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। শিমলা এবং চণ্ডীগড়ের সংযোগকারী শিমলা-কালকা জাতীয় সড়কে ধসের কারণে গত দু’সপ্তাহ ধরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ধস নেমেছে ঋষিকেশ-চম্বা জাতীয় সড়কেও।
গত কয়েক দিন ধরেই হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে। খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। প্রায়ই কোথাও না কোথাও ধস নামছে। ধসের কারণে রাস্তা আটকে বিপদে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরাও। টানা বৃষ্টি নিয়ে আশার কথা শোনাতে পারছে না মৌসম ভবনও। তারা আগেই জানিয়েছিল, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে এই দুই রাজ্যে। উত্তরাখণ্ডের ছ’টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।