ফাঁদ পেতে নির্বিচারে বক হত্যা, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই গ্রেফতার ১

ফাঁদ পেতে নির্বিচারে বক হত্যা, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই গ্রেফতার ১

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মাংসের লোভে বক হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে! চাষের জমিতে ফাঁদ পেতে বক ধরে সেগুলিকে সেখানেই কেটে ফেলা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। সারি সারি সেই বক পড়ে রয়েছে, ছটফট করছে কতগুলো!  

নৃশংস সেই ঘটনার ভিডিয়ো জনৈক এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেন। আর তারপরই সেটি নিয়ে সমালোচনা করেন এক শিক্ষক। তিনি ফেসবুক মারফত সকলের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি দিতেই নজরে আসে বনদফতর ও পুলিশের। বৃহস্পতিবার কেশপুরের সেই কলকলি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।  বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই বক ধরা ফাঁদ সহ নানা সামগ্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের সরিষাখোলা এলাকায়। তার ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যবস্থা নিল বন দফতর ও পুলিশ। জানা গিয়েছে, সরিষাখোলার কলকলি এলাকায় সদ্য রোওয়া জমির মাঝে ধোগা নামের এক ধরনের ফাঁদ পেতেছিলেন কলকলির বাসিন্দা মোজাম্মেল আলি(৫০)। সাদা বকের পালক দিয়ে তৈরী সেই ফাঁদ উপর থেকে উড়ন্ত বক দেখলে ভাবে সেখানে হয়তো অনেক বক বসে রয়েছে। সেটা দেখে নিচে নামলেই পেতে রাখা ফাঁদে ধরা পড়ছে বকগুলি। আর তারপরই সেগুলিকে ধরে কেটে ফেলা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, সেই ভিডিয়ো করেন শিকারীদের মধ্যে কেউ একজন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জমির পাশেই কুড়িটিরও বেশি বক আগে থেকে ধরে বেঁধে রেখেছিল। সেই বকগুলি হত্যা করা হচ্ছে। কোনও ভাবে সেই WhatsApp মারফত সেই ভিডিয়ো পেয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন মনিকাঞ্চন রায় নামের এক শিক্ষক। পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাতেই সোচ্চার হন সচেতন নাগরিকরা। 

সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পৌঁছে যায় বন দফতরের হাতে। বৃহস্পতিবার সকালে খবর যায় কেশপুর থানায়। কেশপুর থানার পুলিশ ও বনদফতর খুঁজে বের করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনায় জড়িত মোজাম্মেল আলি নামে একজনকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে থাকা বাকিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ধৃত ব্যক্তির বাড়ি কেশপুরের কলকলিতে। অভিযুক্ত এর আগেও এরকম কান্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু এবার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের হাতে পাকড়াও। 

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করেছে বন দফতর। পুলিশ ও বন দফতর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ভূমিকায় খুশি সকলে। এদিকে অভিযুক্তের গ্রেফতারির পর শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায় বলেন, " ঘটনাটি খুবই নৃশংস। তাই প্রতিবাদ করে সকলকে সজাগ ও সচেতন করেছিলাম। এভাবে বক হত্যা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার।"