লেবু চোর সন্দেহে দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে 'মার', প্রতিবাদে ধর্নায় BJP

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: উত্তর-পূর্বের হিংসা বিধ্বস্ত রাজ্য মণিপুরের পর এবার বাংলা। চোর সন্দেহে মালদহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে জুতোপেটা মারধোরের ঘটনায় তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। শুক্রবার একুশের মঞ্চে মণিপুরে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরই মধ্যে শনিবার দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধোরের ঘটনা যেন মণিপুরকেও টেক্কা দিল মালদহ জেলা। 

মালদহের বামোনগোলা থানার পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সামনেই দুজন মহিলাকে নগ্ন করে অকথ্য মার প্রকাশ্যে। অভিযোগ, লেবু চোর সন্দেহে সম্পর্কে দুই জা ওই মহিলাদের দিনে দুপুরে হাটের মাঝখানে ধরে অকথ্য অত্যাচার করে উন্মত্ত জনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, দিনের ব্যস্ত সময়ে হাটে অনেক লোকজনের ভিড়। রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়াররাও। সে সবের তোয়াক্কা না করেই জনতার ভিড়ে দুই মহিলাকে নগ্ন করে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রের খবর, মালদহের বামোনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকায় প্রতি মঙ্গলবার করে বড় হাট বসে। আর সেই হাটের মধ্যে দুই মহিলাকে পকেটমার সন্দেহে আটক করে পেটাতে থাকে উন্মত্ত জনতা। নগ্ন করে প্রকাশ্যে তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে এই ঘটনায় কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ার বাধা দিলেও পরে তাঁরা সরে যায়। গোটা ঘটনায় দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে এল না কেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই তান্ডব। বর্বরতা। অন্যদিকে, বর্বরোচিত এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার আন্দোলনে নামে BJP। শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা। উপস্থিত হন পুলিশ সুপারের অফিসে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এরপর সেখানে ধর্নায় বসেন বিজেপি কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই আন্দোলন।  ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন সাংসদ খগেন মুর্মু। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সামনে ও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কিভাবে এই ঘটনা সম্ভব? তার প্রতিবাদ জানান তিনি।