তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে ?

বিজেপি-র চক্রান্ত ?

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে ?

দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দলীয় কর্মীকে মারধরের | বিজেপির ওপর দোষারোপ তৃণমূল নেতৃত্বর |

শান্তিপুর শহরের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক বিক্রম আদিত্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দলেরই এক কর্মী মুন্না সরকারকে বেধড়ক মারধর করার। অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর থানা আটক করে ওই যুব নেতৃত্বকে | যদিও পরের দিন সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগকারী মুন্না সরকারের বক্তব্য, তার দাদা মনোজ সরকারের সঙ্গে থাকার সুবাদে তিনিও তৃণমূল কর্মী পেশায় শান্তিপুর থানার সামনে একটি ফাস্টফুডের দোকান চালান  | মাঝেমধ্যে অন্যের গাড়িও চালান। চলতি মাসের গত ১৩ তারিখে  শান্তিপুর রামকৃষ্ণ কলোনির মাঠে একটি ব্যাডমিন্টন খেলা চলছিল আনুমানিক রাত বারোটা নাগাদ | সেখান থেকে তিনি আসার সময় অন্য একটি গাড়ির ড্রাইভার তাকে চেপে দেয়। এরপরেই ওই এলাকার যুব নেতৃত্ব বিক্রম তার কাছে ওই ড্রাইভার-এর ফোন নাম্বার চায়। এবং  ফোনে তাকে না পেয়ে চড়াও হয় মুন্না সরকারের উপর | সে তার দাদা মনোজ সরকারের নাম বললে এলাকার আরও বেশ কিছু যুবক লাঠি, কেউ কেউ খালি হাতে তাকে আরও বেশি বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাকে শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় |পথচারীদের তরফে গাড়িটি ওই এলাকা থেকে পরবর্তীকালে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । 
যদিও অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতৃত্ব বিক্রম আদিত্য অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন | তিনি বলেন দুটি গাড়ির মধ্যে বচসা মেটাতে গিয়েই এই ভিত্তিহীন অভিযোগ, যদিও তিনি এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি বলেন এ ব্যাপারে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব মতামত প্রকাশ করবেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম শান্তিপুর শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপঙ্কর সাহার কাছে | সামনের লোকসভা ভোট আর সেই কারণেই বিজেপি মিথ্যে অভিযোগের মধ্যে দিয়ে নেতৃত্বদের বিব্রত করতে চাইছে। 

যদিও নিজেদের অন্তর্দন্দ ঢাকতে বিজেপির নামে এই কুৎসা বলেই মনে করেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ রানাঘাট জেলার  সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ সোমনাথ কর।

তবে পরিবারের পক্ষ থেকে, দোষীকে ছাড়ার ব্যাপারে  ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়েছে তারাও তৃণমূল ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বিষয়টি, বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন এবং আইনের উপর ছেড়ে দিয়েছেন তারা।

তবে এই ঘটনা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নাকি বিজেপির কোনও চক্রান্ত তা সময় বলবে |