হাঁসখালিতে প্রকাশ্যে শ্যুটআউট, গুলিতে ঝাঁঝরা TMC নেতা

প্রত্যক্ষদর্শীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

হাঁসখালিতে প্রকাশ্যে শ্যুটআউট,  গুলিতে ঝাঁঝরা TMC নেতা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: শীতলকুচির পর হাঁসখালি। সাত সকালে হাড় হিম করা খবর। এবার নদিয়ার হাঁসখালি থানার রামনগর বড়চুপরিয়াতে গুলি বিদ্ধ এক তৃণমুল নেতা। শীতলকুচির পর নদিয়ার হাঁসখালি। সাত সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিতে ঝাঁজরা তৃণমূল নেতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু তদন্ত। 

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। নদিয়ার হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়ার তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার সকালেও বাজারে এসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। যে চায়ের দোকানে প্রতিদিন বসেন, এদিনও সেখানেই ছিলেন। ভাবতে পারেননি পরিচিত ওই জায়গায় এমন বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে। এদিন আচমকা চায়ের দোকানের সামনে বাইক নিয়ে হাজির হন আট থেকে ১০ জন। সকলের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। আচমকাই তারা আমোদ আলিকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যান তৃণমূল নেতা। লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের মুখ ঢাকা ছিল। ওই তৃণমূল নেতা লুটিয়ে পড়তেই মোটরবাইক নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। সকালবেলা ভরা বাজারে এমন দুঃসাহসিক হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষজন। প্রাণভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে আসে হাঁসখালি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। কী কারণে তাকে গুলি করে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

 তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের ধারণা ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই খুন হয়েছেন আমোদ আলী। এর পেছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা জানান, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কী কারণে খুন তার রহস্য ভেদ করতে সবদিকই খতিয়ে দেখা হবে।