'ছেলেকে ফাঁসাচ্ছে স্বপ্নদীপের বাবা', যাদবপুর র‍্যাগিংকাণ্ডে দাবি সৌরভের মা-বাবার

স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের চন্দ্রকোনা থানার খারুসা এলাকায়।

'ছেলেকে  ফাঁসাচ্ছে স্বপ্নদীপের বাবা',  যাদবপুর র‍্যাগিংকাণ্ডে দাবি সৌরভের মা-বাবার
মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডু। ইনসেটে ধৃত সৌরভ (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর ঘটনায় সময় যত গড়াচ্ছে ততই দৃঢ় হচ্ছে র‍্যাগিং তত্ত্ব। বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১। মৃতের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সৌরভ চৌধুরী নামে যাদবপুরেরই প্রাক্তন ছাত্রকে। যদিও গোটা ঘটনায় তাঁর ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ধৃতের মাপ্রণতি চৌধুরী।  

স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের চন্দ্রকোনা থানার খারুসা এলাকায়। গ্রামের বাড়িতেই থাকেন সৌরভের বাবা নিরুপ চৌধুরী ও মা প্রণতি চৌধুরী। ঘটনায় ধৃতের বাবা মায়ের দাবি, তাঁদের ছেলে কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে ওই ছাত্রের মৃত্যুর দায় কার? প্রশ্ন উঠেছে সর্বস্তরে। মৃত স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথমে তাকে আটক করা হয়। 

পুলিশ সূত্রে খবর, বয়ানে বেশকিছু অসঙ্গতি মেলায় আটক করা হয় প্রথমে। পরে গ্রেফতার করা হয় ওই প্রাক্তন ছাত্রকে।
 পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃত ছাত্রের বাবা যে FIR করেছেন, তাতে এই সৌরভ চৌধুরীর নাম রয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সৌরভ চৌধুরীর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সৌরভ চৌধুরী যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০২২ সালে তিনি MSC পাস করেন। 

আরও জানা গিয়েছে,  পাসআউট করে যাওয়া পরও গত একবছর ধরে তিনি হস্টেলেই থাকতেন। আর এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম, কোনও পড়ুয়া অপর পড়ুয়ার 'গেস্ট' হিসেবে হস্টেলে থাকতে পারেন।  পুলিশ সূত্রে দাবি, এই সৌরভ চৌধুরী পাস করে যাওয়ার পরও নিজেই নিজের গেস্ট হিসেবে হস্টেলে থাকতেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সৌরভ চৌধুরী কি এতটাই প্রভাবশালী? পাস করে যাওয়ার পরও একবছর ধরে তিনি হস্টেলে থাকছিলেন কীভাবে? আর এটা কেন আসল না কর্তৃপক্ষের নজরে? প্রশ্ন উঠছে, নাকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রচ্ছন্ন মদতেই এমনটা সম্ভব হয়েছে? আজ স্বপ্নদীপের এই মর্মান্তিক পরিণতির দায় কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এদিকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁদের ছেলের নাম জড়ানো এবং গ্রেফতার হওয়ার খবর মানতে পারছেন না সৌরভের বাব-মা থেকে পরিবারের অন্য সদস্যরা।