মদনের অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ SSKM-এর

শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন শুভদীপ পাল। তিনি আবার SSKM-এরই ল্যাব টেকনিশিয়ান। হাসপাতালের কর্মীরই এই অবস্থা হলে, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে বলেও এদিন প্রশ্ন তুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।

মদনের অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ SSKM-এর
মদন মিত্র (ছবি সৌজন্য-ফেসবুক)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রোগী ভর্তি নিয়ে মদন মিত্রের বিস্ফোরক অভিযোগের পর কড়া পদক্ষেপ SSKM কর্তৃপক্ষের। গোটা বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হল হাসপাতালের পক্ষ থেকে।  শনিবার SSKM অধিকর্তা ডঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে গোটা বিষয়টার তদন্ত করা হবে। 

শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন শুভদীপ পাল। তিনি আবার SSKM-এরই ল্যাব টেকনিশিয়ান। হাসপাতালের কর্মীরই এই অবস্থা হলে, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে বলেও এদিন প্রশ্ন তুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর অভিযোগ, SSKM-এ দালালরাজ চলছে। টাকার খেলা চলছে চারিদিকে। টাকা দিলে তবেই মেলে স্বাস্থ্য পরিষেবা। বিধায়কের অভিযোগের তির, তার দলের দিকেই। এই নিয়ে মামলারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিন SSKM হাসপাতালে কার্যত রুদ্রমূর্তিতে ধরা দিলেন মদন। হাসপাতালে ঢোকার মুখে পুলিশ এবং কর্মীদের উদ্দেশ্যেও প্রশ্ন ছুড়ে দিতে দেখা গেল কামারহাটির বিধায়কে। হাসপাতালের বাইরে সংবাদমাধ্যমেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। 

SSKM-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেন মদন মিত্র। SSKM বয়কটেরও ডাক দিলেন ক্ষুদ্ধ কামারহাটির বিধায়ক। তিনি জানান, আমি মদন মিত্র অভিযোগ করছি। সে নো টু পিজি। জনগণের কাছে আমার আবেদন, যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন, সে নো টু পিজি। চিকিৎসার প্রয়োজনে যত টাকা লাগে নিজের ঘড়ি, আংটি বিক্রি করে রোগীর চিকিৎসা করাবেন বলেও জানান তিনি। রোগী যেতে যেতে যদি মারা যান, তাহলে মেডিকেল অফিসারের নামে রোগীর পরিজনকে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেক্ষেত্রে নিজে মামলা লড়বেন বলেও জানিয়ে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান তিনি। আমরা আসার পর যদি এই অবস্থা হয় তাহলে গরিব মানুষগুলোর কী অবস্থা হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তার আরও অভিযোগ, রোগী ভিখারির মতো পড়ে রয়েছেন। বাইরে থেকে এসে দালাল ঘুরছে। পিজি-র সুপার, ডিরেক্টরের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছিলেন মদন মিত্র। 

একসময় এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন মদন মিত্র। রোগী ভর্তি করাতে অসংখ্য মানুষ তাঁর সহযোগিতা পেয়েছেন। শুক্রবার তার বিস্ফোরক অভিযোগের ভিত্তিতেই নড়েচড়ে বসল SSKM কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি ট্রমাকেয়ার ইউনিটের CCTV ফুটেজ কখতিয়ে দেখে গোটা বিষয়ের পুর্নাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন SSKM অধিকর্তা ডঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মদন মিত্রের অভিযোগে সরকারি হাসপাতালগুলো এই পুরোনো অসুখ থেকে আদেও মুক্তি পায় কিনা সেটাই এখন দেখার।