ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সবুজ পৃথিবী উপহার দেওয়ায় লক্ষ্য, বৃক্ষ রোপণ করে কলকাতাকে বাসযোগ্য করে তুলছেন রমেশচন্দ্রন

বাইপাসের ধারে কালিকাপুরের বাসিন্দা। বয়স ৬৬। বছর ১০ আগে ডঃ আব্দুল কালামের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। কালাম সাহেবের অনুপ্রেরণায় সেই থেকে শুরু করেন বৃক্ষরোপন পাশাপাশি তা নিয়ে শুরু করেন সচেতনতার কাজও।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সবুজ পৃথিবী উপহার দেওয়ায় লক্ষ্য,  বৃক্ষ রোপণ করে কলকাতাকে বাসযোগ্য করে তুলছেন রমেশচন্দ্রন
বৃক্ষ রোপণ করে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা রমেশচন্দ্রনের (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কলকাতা যত আধুনিক হচ্ছে, ততই কমছে গাছের সংখ্যা। বাড়ছে দূষণ। আকাশ ঝাড়ু বিল্ডিংয়ে ঢাকা পড়ছে তিলোত্তমার আকাশ। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এই দূরত্বের প্রভাব পড়ছে আবহাওয়ায়। উষ্ণতার পারদে বিদ্ধ হচ্ছে শহরবাসী। এই অবস্থায় কলকাতাকে বাসযোগ্য করে তুলতে গাছ লাগিয়ে চলেছেন ৬৬ বছরেব রমেশ চন্দ্রন। পাশাপাশি স্কুলে স্কুলে শিশুদের মধ্যেও গাছের চারা লাগনোর বিষয় সচেতনতার কাজও করছেন তিনি।

বাইপাসের ধারে কালিকাপুরের বাসিন্দা। বয়স ৬৬। বছর ১০ আগে ডঃ আব্দুল কালামের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। কালাম সাহেবের অনুপ্রেরণায় সেই থেকে শুরু করেন বৃক্ষরোপন পাশাপাশি তা নিয়ে শুরু করেন সচেতনতার কাজও। নিম থেকে মেহগনি কী নেই তাঁর ভাড়ারে। ছোটো ছোটো চারা রেখে দেন বাড়ির সামনে এলাকাবাসী সেখান থেকে নিয়ে যায়। বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের হাতে কলমে বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝান। নাম রমেশ চন্দ্রন। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী। ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে ঝাড়া হাত পা ষাট-উর্ধ রমেশ বাবু এই সামাজিক কাজ করে চলেছেন। পাশে পেয়েছেন এলাকাবাসীদেরও। বাইপাসেরও গাছ বসানোর মতো কাজ করেছেন রমেশ বাবু।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Sukanata-Majumdar-and-shantanu-thakur-take-oath-as-modi-cabinet-minister

বয়সকে কার্যত তুড়ি মেরে  ছোটো ছোট পড়ুয়াদের দিয়ে আসছেন বীজ। শুকিয়ে যাওয়া গাছকেও পরিচর্চা করে বাঁচিয়েও তুলছেন। কলকাতার একজন পরিবেশ সচেতন নাগরিক হিসেবে চেষ্টা করে চলেছেন তিলোত্তমাকে মানুষের বাসযোগ্য করে রাখার।