Water Logged News: রাতভর অঝোর বর্ষণে বাড়ির সামনে হাঁটুসমান জল, পুজোর মুখে ডেঙ্গু আতঙ্ক গোবরডাঙ্গায়

বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারা বৃষ্টি। রাতভর একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন...

Water Logged News: রাতভর অঝোর বর্ষণে বাড়ির সামনে হাঁটুসমান জল,  পুজোর মুখে ডেঙ্গু আতঙ্ক গোবরডাঙ্গায়
প্রবল বর্ষণে জলে ডুবেছে রাস্তা (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বাংলার গাঁ ঘেঁষে ইউটার্ন নিয়েছে নিম্নচাপ (Heavy Rain)। আর তার জেরে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারা বৃষ্টি। রাতভর একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা পুরসভার (Gobardanga) বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল বৃষ্টিতে ড্রেন ছাপিয়ে জল উঠে এসেছে রাস্তায়, বাড়ির উঠোনে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গৈপুর নতুন পাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। একই পরিস্থিতি প্রায় সব ওয়ার্ডেই। বৃষ্টির কারণে ড্রেনের জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। আর সেই নোংরা জলের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচারী সকলকেই। সামনেই পুজো। কবে নামবে এই জমা জল তা জানেন না ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে। দীর্ঘদিন জমা জলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাড়ছে মশার উপদ্রব। তার উপর দোসর ডেঙ্গু আতঙ্ক। অভিযোগ, এই নিয়ে বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে জানালেও লাভ হয়নি। দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর।  

অন্যদিকে, একটানা বৃষ্টিতে ভাঙন আতঙ্ক উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Bashirhat) হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেলার বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবেড়িয়া, বাঁকড়া, ডোবর, ১৩ নম্বর বিল সহ একাধিক এলাকায়। ভাঙন আতঙ্কে রাত জেগে নদী বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইছামতি, কালিন্দী, রায়মঙ্গল এই তিনটি নদীর মোহনায় অবস্থিত এই এলাকা। আর এখানেই দেখা দিয়েছে নদী বাঁধের ভয়াবহ ফাটল। বড় বড় চাই ভেঙে পড়ছে নদীতে। ধস নেমে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। তার উপরে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। যার জেরে যেকোনও মুহূর্তে প্লাবিত হয়ে জল ঢুকতে পারে গ্রামে। পুজোর মুখে নদীর এই রূপ দেখে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। রাজ্যের বিভিন্ন জলাশয় থেকে জল ছাড়ার কারণে ও অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে নদীর ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। নদীর পাড়ে গেলে দেখা যাচ্ছে, নদীর উন্মত্ত চেহারা। যে কোনও মুহুর্তে লন্ডভন্ড করে দিতে পারে গোটা সুন্দরবন (Sundarbans)। 

এর আগেও সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়েছে একাধিক ভয়াবহ সাইক্লোন। তারপর নদী বাঁধের কাজ সেভাবে শেষ হয়নি। যার কারণে নদী বাঁধের অবস্থা খুবই দুর্বল। অল্পবৃষ্টি হলেই বাঁধের মাটি গলতে শুরু করে। সেখানে দাঁড়িয়ে ভয়াবহ বর্ষণের পর সেই বাঁধ গুলির অবস্থা কি হতে পারে তা আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সুন্দরবন ও নদী বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার একাধিক সরকারি দফতরে বিষয়টি নিয়ে তারা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। নদী বাঁধের দিকে নজর ও সুন্দরবনের উপর নজরদারি না চালালে তার ফল ভোগ করতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। সাইক্লোন বইয়ে যাওয়ার কারণে বড় বড় ম্যানগ্রোভ ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে সুন্দরবনে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এক মাত্র ম্যানগ্রোভ। আর সেই ম্যানগ্রোভের আজ আর দেখা মেলাই ভার। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ম্যানগ্রোভ লাগানোর কাজ চলছে। কিন্তু সেই ম্যানগ্রোভ কবে বড় হবে, তারপর সুন্দরবনের ভারসাম্য রক্ষা করবে তা বহুদূর।