জল ছাড়ল কংসাবতী- মুকুটমণিপুর জলাধার, পুজোর মুখে বন্যার আশঙ্কা জেলায়

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল কংসাবতী সেচ দফতর। মঙ্গলবার পর্যন্ত দশ হাজার কিউসেক করে জল ছাড়া হলেও, বুধবার সকাল থেকেই কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে মোট ২৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দপ্তর। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার উচ্চ অববাহিকায় একটানা বৃষ্টিপাত কারণে এমন সিদ্ধান্ত। নদীপথ লেফট ব্যাঙ্ক ফিডার ক্যানেল ও রাইট ব্যাঙ্ক মেইন ক্যানেল দিয়ে জল ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। এই জল ছাড়ার ফলে বাঁকুড়ার কিছুটা অংশ পশ্চিম মেদিনীপুরের আংশিক ও হুগলি জেলার গোঘাট খানাকুল সহ বেশ কিছু অংশে জল ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্লাবিত হতে পারে বেশ কিছু এলাকা। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিকে বন্যা আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করেছে সেচ দফতর। 

এদিকে হাওড়া উদয়নারায়ণপুরে দামোদর নদী ও রূপনারায়ণ নদীর ওপরে জলের চাপ বাড়তে শুরু করেছে রিটেলার জারি করেছে। সমস্ত এলাকায় আরও জলের চাপ বাড়তে পারে এরকমটাই আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষজন। তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৩৪৮৪ কিউসিক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল। গভীর রাতে বন্যা প্লাবিত ওই অঞ্চলগুলি। সিকিমের বেশ কিছু এলাকা ঢুকে পড়েছে জল। চুন্থাম এলাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দিকিম থেকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদী তিস্তা তোর্সা জলঢাকা রায়ঢাক ও সংকষ সবাই বিপদসীমার উপরে বইছে। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।

অন্যদিকে, পুজোর আগে মহা দুর্যোগের মুখে বাংলা। ছত্তিশগড় পৌঁছে ইউটার্ন নিয়ে ফের বাংলার গায়ের কাছে যেন ঘেঁষে আসছে নিম্নচাপ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। গতকাল রাত থেকে একনাগাড়ে চলছে বৃষ্টি। আজ সারাদিন বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বুধবার কলকাতার আকাশ সারাদিন মেঘলা থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।