Murshidabad News: কাজ করেও মেলেনি পঞ্চায়েতের টিকিট, বিক্ষুদ্ধ ৪ TMC বিধায়ক

নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিনে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। নওদা বিডিও অফিসে নমিনেশন জমার প্রক্রিয়া চলাকালীন হাতাহাতি শুরু হয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে

Murshidabad News: কাজ করেও মেলেনি পঞ্চায়েতের টিকিট,  বিক্ষুদ্ধ ৪ TMC বিধায়ক
বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল বিধায়করা (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এদিকে আজই মনোনয়নের শেষদিন। কিন্তু নির্বাচনে লড়াইয়ের টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ৪ তৃণমূল বিধায়ক। এদিন শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুর্শিদাবাদ জেলার চার তৃণমূল বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গাতে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাসক দলের চার বিধায়ক। ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হুমায়ুন কবির, নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ বেগম, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। 

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবির সরাসরি দলের সভাপতি ও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ''কান্দি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাগবুল হোসেন তিনি মাত্র ৫% টিকিটের অংশীদারিত্ব পেয়েছেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আর অপূর্ব সরকার নিজের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি নিজে বেশি আসন ডিস্ট্রিবিউট করছেন। অন্যদিকে একজন হেরে যাওয়া বিধায়িকাও  ডোমকলে নিজের মন মতন প্রার্থী নির্বাচন করেছেন।''

উল্লেখ্য, নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিনেও উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওদা বিডিও অফিসে নমিনেশন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। সেখানে কংগ্রেস নেতা তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মোশারফ হোসেনকে মারধোর করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের উপর চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দল নয়, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরোধী তৃণমূল নিজেই।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রীতিমতো দল বেধে 'নির্দল' পদে মনোনয়ন পেশের হিড়িক। এলাকায় রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায় অনুগামী হিসেবে পরিচিতরা দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ জন প্রার্থী ও প্রস্তাবক এসেছিলেন। এদিকে, এই মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় ব্লক অফিস চত্বরে। উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় হতে হয় পুলিশকে। র‍্যাফ নিয়ে লাঠি হাতে অবৈধ জমায়েত হটাতে হয় পুলিশকে। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের গোষ্ঠীকে আটকানোর চেষ্টা করার কথা ছিল তৃণমূলপন্থী কর্মীদের। যদিও পুলিশই সক্রিয়তায় এখনও পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।