'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে এবার যুক্ত হচ্ছে KMDA, বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর
আরও বেশি মানুষকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় আনতে এবার থেকে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পাশাপাশি কাজ করবে কে.এম.ডি.এ। জানুন বিস্তারিত...

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: শহরাঞ্চলের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য সুখবর। রাজ্য সরকারের 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পাশাপাশি এবার থেকে বাড়ি তৈরি করবে কে.এম.ডি.এ বা কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটিও। শনিবার রাজ্য বিধানসভায় এই বিল পেশ করলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কেন্দ্রের আবাস যোজনা নিয়ে যখন রাজ্য-কেন্দ্র দ্বৈরথ অব্যাহত তার মাঝেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বড় পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য। আরও বেশি মানুষকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় আনতে এবার থেকে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পাশাপাশি কাজ করবে কে.এম.ডি.এ। শনিবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিল পেশ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রকল্পে কেন কেএমডিএ-কে যুক্ত করা হল তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মন্ত্রী। এই শহরের অধিকাংশ মানুষ ঠিকাপ্রজা সত্ত্ব পেয়ে বাস করছেন। তাদের ছোট ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এই সংশোধনীর আগে পর্যন্ত জমির দলিল হস্তান্তরের সমস্যা ছিল। তা মিটল বলেও এদিন জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/WB-Child-protection-committee-to-visits-at-north-24-sandeshkhali-areas
সংশোধনীর আগে ঐ জমি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অধীনে ছিল। পরে তা নগরোন্নয়ন দফতরের আওতায় আসে। এরফলে কলকাতা কর্পোরেশন এলাকায় "জি - প্লাস থ্রি" ও হাওড়া কর্পোরেশন এলাকায় "জি - প্লাস টু" পাকা বাড়ি অর্থাৎ বহুতল গড়ার ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে, আবাসিকদের ওঠানামার জন্য লিফট থাকবে না বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Tollywood-Actress-Anjana-Bhowmick-passed-away
এখনও শহরের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছে ঠিকাজমি। ঠিকাপ্রজা সুবিধা ভোগীদের ঐ জমিতে বাড়ি বা পাকা ছাদ করার সামর্থ্য নেই। তবে কলকাতা পুরসভার নয়া সিদ্ধান্তে এখন থেকে ঐ বাড়ি গড়ে তুলতে পারবে কে.এম.ডি.এ। বাসস্থান সমস্যা থাকলেও ঠিকা সমস্যার জন্য এতদিন আটকে ছিল আবাসন তৈরির কাজ। তবে এবার 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে এই কাজ করতে পারবে কেএমডিএ-ও।