আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে শর্তের জটে, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক বয়কটের ডাক রাজ্যপালের

৩৪ দিন ধরে চলা জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জট কাটতে কাটতেও কাটল না শুধুমাত্র লাইভ স্ট্রিমিংয়ের গেরোয়। মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুই তরফে মোট চারবার ই-মেল চালাচালি হলেও বৈঠকের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে শর্তের জটে, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক বয়কটের ডাক রাজ্যপালের

 ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পর পর তিনদিন। খোলা মনে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিল নবান্ন। তবে আবারও ভেস্তে গেল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। বাদ সাধল জুনিয়র ডাক্তারদের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি। 'বিচারাধীন বিষয়' কোনও ভাবেই সরাসরি সম্প্রচার সম্ভব নয় বলে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরও বৈঠক ছাড়াই নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও  রাজ্যের শীর্ষ চেয়ারের ওপরেই ভরসা রেখে এখনও ধর্না চালিয়ে যাবে বলে জানালেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা।       

৩৪ দিন ধরে চলা জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জট কাটতে কাটতেও কাটল না শুধুমাত্র লাইভ স্ট্রিমিংয়ের গেরোয়। মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুই তরফে মোট চারবার ই-মেল চালাচালি হলেও বৈঠকের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বৃহস্পতিবার ফের নবান্নের তরফে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের চিঠি দিয়ে ১০ থেকে ১৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকের আহ্বান জানান মুখ্যসচিব।

তবে আন্দোলনকারীদের শর্ত অনুযায়ী লাইভ সম্প্রচারন সম্ভব নয় বলে চিঠিয়ে জানিয়ে দেয় নবান্ন। তারপরেও প্রায় ৩০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি দল নিয়ে নিজেদের বাসে সল্টলেক স্বাস্থ্য ভবনের সামনের ধর্নামঞ্চ থেকে নবান্ন যান জুনিয়র চিকিৎসকরা। নবান্নে পৌঁছলেও বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারনের দাবি থেকে এক পাও সরেননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষা করেও তাঁদের দাবি মানলেন না মুখ্যমন্ত্রী। শেষমেশ সুপ্রিম যুক্তি দেখিয়েই নিজের দায় ঝাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বৈঠকটির ভিডিয়ো রেকর্ড করায় সায় দিয়েছিল নবান্ন। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/WB-Government-and-Junior-Doctors-meeting-was-not-held-due-to-live-stream-issue

 তিনদিন মেল-পাল্টা ই-মেলের পর নবান্নে এসেও সম্প্রচারের শর্তে ভেস্তে গেল বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী নিজের শর্তে অনড় থেকে ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার আশা কার্যত মাঠে মারা গেল। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বৈঠক ছাড়াই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নামঞ্চেই ফিরে গেলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

 আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক নিয়ে বেনজির টানাপোড়েন। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সামাজিকভাবে বয়কটে’র সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। সামাজিকভাবে বয়কট বলতে তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রাজ্যপাল৷ একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/WB-CM-Mamata-Banerjee-says-that-she-was-to-ready-for-resign-from-chief-minister-post

প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষার পর নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে স্বাস্থ্যভবনে ফিরে এলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। জানিয়ে দিলেন, তাঁদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও ৩৩ দিন পথে থাকতে পারেন তাঁরা। অধরাই রয়ে গেল সমাধানসূত্র।