বৃষ্টির ঘাটতিতে আনাজে আগুন, লঙ্কার দামে চোখে জল আমজনতার

বৃষ্টির সমস্যা যেমন আছে, তেমনি বাজার আনাজ আনতে গিয়ে পুলিশের টাকা চাওয়ার জুলুমের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ১০০ কিলোমিটার যেতে গেলেই বেশ কয়েকবার টাকা দিতে হচ্ছে তাদের।

বৃষ্টির ঘাটতিতে আনাজে আগুন,  লঙ্কার দামে চোখে জল আমজনতার
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: খাতায় কলমে বর্ষার মরশুম শুরু হয়ে গেলেও বৃষ্টির ঘাটতিতে আকাশছোঁয়া আনাজের দাম। কাঁচালঙ্কার ঝালে নয় বরং লঙ্কার দামে দিশেহারা আম জনতা। শুধু যে লঙ্কা তা নয়। আদা, বেগুন, টমেটো এমনকি ধনেপাতার দামও ইতি মধ্যেই সেঞ্চুরি করেছে । যারফলে সাধারণ মানুষের হেঁসলে টান। 

হুগলির শেওড়াফুলি পাইকারি বাজারে শাকসবজি থেকে ফলমূল প্রায় সবকিছুই আমদানি রফতানি করা হয়। এই বাজারেই চাষিরা এসে নিজেদের ফসল বিক্রি করেন। শেওড়াফুলি সুপার মার্কেট যে শুধু হুগলি জেলার মানুষের সবজির যোগান দেয় তা নয়। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও এই সবজি রফতানি করা হয়। কিন্তু যেই বাজারে চাষীদের ঘর থেকে সরাসরি সবজি আসছে সেখানেও বাজার করতে গেলে নাভিশ্বাস  উঠছে সাধারণ মানুষের। অবশ্য চাষিরা জানিয়েছেন বৃষ্টির কারণেই ফসলের উৎপাদন কম। ফলে পরিমাণ মতো যোগান নেই সবজির। 

ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টির সমস্যা যেমন আছে, তেমনি বাজার আনাজ আনতে গিয়ে পুলিশের টাকা চাওয়ার জুলুমের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ১০০ কিলোমিটার যেতে গেলেই বেশ কয়েকবার টাকা দিতে হচ্ছে তাদের। ফলে এই টাকা সবজির দামের উপরই ধার্য করা হচ্ছে। ফলে মাছ-মাংসের পাশাপাশি কাঁচা সবজিতেও বেগ পেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের। পাইকারি ব্যবসায়ী বাবু দাস বলেন, ''আদা, লঙ্কা, রসুন এগুলো এখানে চাষ হয় না। কর্ণাটক সহ বেশকিছু  রাজ্য থেকে আসছে। বাইরে বৃষ্টির হওয়ার জন্য ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে। বর্তমানে এই এলাকায় সেরকম কোনও চাষ নেই। যারফলে দাম বাড়ছে সবকিছুরই। 

হুগলি নিয়ন্ত্রিত বাজারের সম্পাদক ফিরদোসুর রহমান বলেন, ''গত বছরের তুলনায় ফসলের উৎপাদনের পরিমান কম। তার জন্য দাম বাড়ছে। আদা ও লঙ্কা আমদানি কম থাকার জন্য সমস্যা বাড়ছে। আসা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে বাজার দর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। হুগলির উৎপাদিত পণ্য কলকাতা ও হাওড়ায় চলে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। কৃষক বাজারগুলিতে অন্য জেলা থেকে ও বিক্রি করতে আসে। আমাদের নিয়ন্ত্রিত বাজারের আধিকারিকরা সব সময় পর্যবেক্ষণ করছে।''