লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা, অথৈ জলে গ্রাহকরা

এসবিআই গ্রাহকরা লক্ষ্য করেন মাজদিয়ার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রটি তালা বন্ধ। এরপর তারা গ্রাহক পরিষেবার এজেন্সি নেওয়া মালিক শান্তনু কর্মকারের বাড়িতে যান।

লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা, অথৈ জলে গ্রাহকরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: এ যেন রক্ষকই ভক্ষক! ব্যাঙ্কেও টাকা রেখে শান্তি নেই গ্রাহকদের। গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে বেপাত্তা স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রের কর্মচারী। ঘটনায় অথৈ জলে পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের স্টেট ব্যাংকের মাজদিয়া গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে। প্রতারিত গ্রাহকদের অভিযোগ, কম টাকা জমা নিতে চাইতেন না অভিযুক্ত কর্মচারী। গ্রাহকদের থেকে বেশি বেশি টাকা নিয়ে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত যুবক।   

দিন সাতেক আগে এসবিআই গ্রাহকরা লক্ষ্য করেন মাজদিয়ার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রটি তালা বন্ধ। এরপর তারা গ্রাহক পরিষেবার এজেন্সি নেওয়া মালিক শান্তনু কর্মকারের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তার বাড়িতে তালা দেওয়া। অভিযুক্ত বাড়ির লোকেদের নিয়ে ফেরার হয়েছেন। এরপর গ্রাহকরা কৃষ্ণগঞ্জের স্টেট ব্যাংকে যান। ব্যাংকের সামনে প্রচুর গ্রাহক জমা হন। অভিযোগ গ্রাহকরা এই বিষয়ে ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁদের কোনও কথায় কর্ণপাত করতে চাননি তিনি। এছাড়াও সংবাদ মাধ্যম যেতেই ম্যানেজার তড়িঘড়ি সমস্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে আবেদন লিপিবদ্ধ করে ও রিসিভ কপি দিতে থাকেন। এদিকে টাকা নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ব্যাঙ্ক ম্যানেজার স্বীকার করে নিলেও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে ঘটনায় গ্রাহকদের দাবি ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জানিয়েছেন টাকার বিষয়ে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে। এছাড়াও তদন্ত সংক্রান্ত ব্যাপারের কথা বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে প্রতারিত গ্রাহকদের অভিযোগ ব্যাংকের তরফ থেকে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই শাখার ব্যাংক ম্যানেজার। প্রচুর মানুষ জীবনের শেস সম্বল হারিয়ে অসহায়ের মত ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাঙ্কেও কি টাকা আত্মসাৎ হয়?  গরীব মানুষ আউটসোর্সিং বোঝেন না। যদি আউটসোর্সিংয়ের হাল এমন হয় তাহলে ভাবতেই বুক ধরফর করছে। না জানি এই আউটসোর্সিংয়ের কুফল কত মানুষ ভোগ করবেন। 

এদিকে এখন গ্রাহকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবে তাদের মেহনতের পয়সা  ফেরত পাবেন। তবে কান পাতলে এটাও শোনা যায় ব্যাংকের সাধারণ মানুষ কোনও কাজ করাতে গেলে ব্যাংকের অফিসাররা জোর করে তাদের নামে জীবন বীমা করিয়ে দেন। মিনিমাম ১৫০০ টাকা এক বছরের জন্য। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্যই এই মত পোষণ করছেন গ্রাহকরা। ব্যাংক কি আদৌও এভাবে কাজ করতে পারে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন চিহ্ন গ্রাহকদের কাছে।