লিঙ্ক নেই পোস্ট অফিসে, সমস্যায় পেনশনভোগীরা

শান্তিপুর পোস্ট অফিস থেকে গ্রাহকদের পেনশন তুলতে প্রায় প্রত্যেক মাসেই সকাল থেকে সারাদিন কেটে যায়।

লিঙ্ক নেই পোস্ট অফিসে, সমস্যায় পেনশনভোগীরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: লিঙ্ক নেই পোস্ট অফিসে। সমস্যা একদিনের নয়, বহুদিনের। দূরদুরান্ত থেকে নিজেদের গচ্ছিত টাকা তুলতে এসে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। একসময় যারা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছিলেন, আজ তাঁরাই পোস্ট অফিসের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারি বিভিন্ন দফতর ঠিকঠাক সময়ে পেনশন দিয়ে দিলেও, শান্তিপুর পোস্ট অফিস থেকে পেনশন তুলতে গিয়ে প্রায় প্রত্যেক মাসেই লিঙ্ক যন্ত্রণায় ভুগতে হয় প্রবীণ গ্রাহকদের। 

শান্তিপুর পোস্ট অফিস থেকে গ্রাহকদের পেনশন তুলতে প্রায় প্রত্যেক মাসেই সকাল থেকে সারাদিন কেটে যায়। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এই পোস্ট অফিসের বয়স্ক গ্রাহকরা। শান্তিপুর কাশ্যপ পাড়ার পোস্ট অফিসের বেশিরভাগ গ্রাহকই প্রবীণ নাগরিকের তালিকায় পড়েন। এমন গ্রাহকদের সংখ্যা কম করে প্রায় ৬০ - ৬৫ জন। যাদের মধ্যে অনেকেই আবার শান্তিপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা। যারা দূর দূরান্ত থেকে অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নিজেদের জমানো টাকা তুলতে আসেন। গ্রাহকদের কাছে পোস্টমাস্টার একটাই যুক্তি, লিঙ্ক না থাকলে আমরা কি করবো? পোস্ট মাস্টার নিরুত্তর থাকায় দিন-দিন চরমে উঠছে সমস্যা। 

 প্রতিদিনই লিঙ্ক নেই। একথা বলেই বছরের পর বছর বিভিন্ন পোস্টমাস্টার দায় সারছেন। বয়সজনিত কারণে কারণে  শারীরিক সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন করার মানসিক দৃঢ়তাও অনেকে হারিয়েছেন। এভাবে দিনের পর দিন সংসার খরচের টাকা পেতে কখনও সারাদিন কখনও বা পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের। কল্যাণী প্রধান পোস্ট অফিস ও আগের মতোই বিষয়টি দেখছি বলে দায় সেরে গিয়েছে।

 এদিকে শান্তিপুরে পেনশন অ্যাসোসিয়েশনের সংগঠনের বাৎসরিক সম্মেলন হলেও পেনশন হোল্ডারদের সমস্যা নিয়ে তাদের সদর্থক কোনও ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি পোস্ট মাস্টারের তরফ থেকেও এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।