তিনটি জনসংযোগ যাত্রাতেই উপচে পড়া ভিড় মমতাকে কাছে পেয়ে আবেগে ভাসল উত্তর দিনাজপুর

উত্তর দিনাজপুরে তিন তিনটে জন সংযোগ যাত্রা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে ঘিরে জনতার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘বাংলার নিজের মেয়ে’কে দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় জমিয়েছিল বহু মানুষ।

তিনটি জনসংযোগ যাত্রাতেই উপচে পড়া ভিড় মমতাকে কাছে পেয়ে আবেগে ভাসল উত্তর দিনাজপুর
ফাইল চিত্র

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: উত্তর দিনাজপুরে তিন তিনটে জন সংযোগ যাত্রা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে ঘিরে জনতার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘বাংলার নিজের মেয়ে’কে দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় জমিয়েছিল বহু মানুষ। 

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুরে পদযাত্রা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুলের পদযাত্রা যে পথে এগিয়েছিল, সেই পথ ধরেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাঁটলেন তৃণমূল নেত্রী। মঙ্গলবার দিনভর দুই দিনাজপুরে ঠাসা কর্মসূচি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন চোপড়া ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ-এ জনসংযোগ যাত্রা করেন তিনি।

উদ্দেশ্যে, আমজনতার কাছে পৌঁছে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে নেওয়া। তাতে অভূতপূর্ব সাড়াও মিলেছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে রাস্তার দুপাশে ভিড় জমিয়েছছিলেন। তাঁদের মধ্যে উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের এই বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাফপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের কথায় মমতাকে ঘিরে সংখ্যালঘু জনতার এই উচ্ছ্বাস আরও একবার বুঝিয়ে দিল তাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উপরই। 

শুধু তাই-ই নয়,  রায়গঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে বিদ্রোহী বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীকে। তাঁকে এদিন সিনিয়র লিডার বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 'মমতাই আমাকে সাইড করে দিয়েছেন', পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করেছিলেন ইসলামপুরের ১১ বারের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এমনকি নবজোয়ার কর্মসূচিতেও অভিষেকের এড়িয়ে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের নাম করে আক্রমণ শানিয়েছেন করিম চৌধুরী। তাঁর দাবি, অবিলম্বে মুখপাত্র পদ থেকে কুণাল ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। এত বিতর্কের মধ্যেও মঙ্গলবার রায়গঞ্জের প্রশাসনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল করিম চৌধুরীকে। এদিকে রায়গঞ্জের সভায় ফের আরও একবার সি এ এ নিয়ে সরব হয়েছেন।' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নাগরিক না হলে আপনি ভোট দেন কীকরে ? এগুলো সব মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে, আমরা সবাই নাগরিক'।    

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কর্মসূচির কোথাও রাহুলের নাম উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকে মনে করছেন, কংগ্রেসের নেতার কর্মসূচি সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব থেকে মমতা বিষয়টিকে উপেক্ষাই করতে চাইছেন। আবার অনেকে বলছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হওয়ার সম্ভাবনা এখনও পুরোপুরি বিনষ্ট হয়নি। রাহুলরা মমতার সূত্র মেনে নিলে জোট হতেও পারে। এখন দেখার এই জোটের জল কতদূর গড়ায়।