'পুরানোর হৃদয় টুঁটে আপনি নতুন উঠবে ফুটে'

একসময় বইমেলায় গেলেই আলো করে বিভিন্ন বইয়ের স্টলে দেখা যেত এদের। কিন্তু কালের নিয়মে এক এক করে চলে গেছেন বাংলার সাহিত্যজগতেই নক্ষত্ররা। আরও পড়ুন...

'পুরানোর হৃদয় টুঁটে আপনি নতুন উঠবে ফুটে'
নিজস্ব চিত্র।।

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বুধবার শেষ ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এবারের বইমেলাতেও পরিচিত লাভ করলেন নতুন লেখকরা। পাঠককুলও একাত্ম হলেন তাঁদের সঙ্গে। এই মেলায় একসময় আলো করে থাকতেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, সুচিত্রা ভট্টাচার্যরা। তাদের অনুপস্থিতি অবশ্য পীড়া দেয়,তবে নতুন লেখকরাও পাঠককুলের মন জয় করছে। মনে করেন প্রকাশকরা।

কালবেলার মাধবীলতা অনির হাত ধরে চলে গেছে দিকশূন্য পুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে হয়তো মাধবীলতা আজানুকেশ ভিজিয়ে নিচ্ছে আকাশ ছাঁচা জলে। এদিনে হয়তো অনির সঙ্গে দেখা হয়েছে ফ্যাতাড়ুদের। এদিকে এদের খুঁজতে বেরিয়ে বেপাত্তা মিতিন মাসিও। না ভণিতা না করে সোজা করেই বলি, এইগুলো লেখকদের গল্পের চরিত্র। কালবেলার লেখক সমরেশ মজুমদার, দিকশূন্য পুরে সৃষ্টি কর্তা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়,কিংবা বৃষ্টি যখন নামলোর লেখক শক্তি চট্টোপাধ্যায়, ফ্যাতাড়ুর স্রষ্ঠা নবারূন ভট্টাচার্য, মিতিন মাসির সুচিত্রা ভট্টাচার্য।

একসময় বইমেলায় গেলেই আলো করে বিভিন্ন বইয়ের স্টলে দেখা যেত এদের। কিন্তু কালের নিয়মে এক এক করে চলে গেছেন বাংলার সাহিত্যজগতেই নক্ষত্ররা। বইমেলাও অভাব বোধ করছেন তাদের। তবে অভাব বোধ থাকলেও নতুন লেখকরাও ধীরে ধীরে মন জয় করে নিচ্ছে বইপ্রেমীদের। মনে করেন প্রকাশকরা। সঙ্গে তো বাণী বসু,শঙ্কর, ভালো ভুতের স্রষ্টা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রয়েছেন। 

কালের নিয়মে চলে যেতেই হয়,কিন্তু লেখকের লেখা তাকে বাঁচিয়ে রাখে,ওই যে বলে, স্রষ্টা চলে যায়,কিন্তু তার সৃষ্টি থেকে যায়,পাঠকরাও তাই আজও সুনীল, শক্তি,সমরেশদের খুজে পায় তাদের লেখার মধ্যে। সেইসঙ্গে নতুন লেখকদেরও আপন করে নিচ্ছে বইপ্রেমীরা। আসলে তারাই তো আসল চালিকা শক্তি কী বইয়ের,কী লেখকের কী বইমেলার।