সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি, প্রেমিকা ও তাঁর জেঠিমাকে খুন করে বেপাত্তা প্রাক্তন প্রেমিক

নুর্সিরদার চক গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর নস্কর। তাঁর মেয়ে চুমকি নস্করের সঙ্গে পাড়ারই যুবক সৌরভ মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি,  প্রেমিকা ও তাঁর জেঠিমাকে খুন করে বেপাত্তা প্রাক্তন প্রেমিক
মৃত প্রেমিকা ও তাঁর জেঠিমা (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: প্রেমিকার অন্যত্র সম্পর্ক! বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার জোড়া দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর থানার হাটখোলা নুর্সিরদার চক গ্রামে। প্রেমিকা ও তার জেঠিমাকে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার প্রেমিক ও তার পরিবার। অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হাটখোলা নুর্সিরদার চক গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর নস্কর। তাঁর মেয়ে চুমকি নস্করের সঙ্গে পাড়ারই যুবক সৌরভ মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বেশকিছুদিন ধরে সৌরভকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল চুমকি। অভিযোগ, চুমকির প্রস্তাবে সায় দিচ্ছিল না সৌরভ। আর তারপরই সৌরভকে ছেড়ে অন্যত্র সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে চুমকি। তাঁদের দু'জনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ক্ষোভে প্রতিশোধ নিতে চুমকি ও তাঁর জেঠিমাকে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে চুমকিকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সৌরভ। সেই সময় তাঁদের দুজনকে দেখে ফেলেন জেঠিমা পূর্ণিমা নস্কর। পুলিশের অনুমান, এরপরই দুজনকে খুন করে পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যায় সৌরভ।  শুধু তাই নয়, মৃতদের  ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর মাথায় ও দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। 

আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় জেঠিমা পূর্ণিমা নস্কর (৫৪)। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর সন্ধ্যায় ওই একই পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় কলেজ ছাত্রী চুমকি নস্করের(১৯) মৃতদেহ। দুজনকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে জেঠিমা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ার পর পুলিশ মৃতদেহ আত্মীয়ের হাতে তুলে দেন। ময়না তদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সেখানে তদন্ত চলাকালীন পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন আরও একটি মৃতদেহ। মৃতদেহটি চুমকি নস্করের। তারও মাথায় আঘাতে চিহ্ন ছিল। এরপরেই খুনের অভিযোগ দায়ের করে মৃতাদের পরিবার।