গরিব বাবার সামর্থ্য নেই ছেলের চিকিৎসা করানোর, পায়ে শিকল বেঁধেই দিন কাটছে যুবকের

বরুণ রামের দিদি জুলি রাম জানান, আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সেভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইয়ের। বরুন যত বড় হছে তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

গরিব বাবার সামর্থ্য নেই ছেলের চিকিৎসা করানোর, পায়ে শিকল বেঁধেই দিন কাটছে যুবকের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় দিন কাটচ্ছে যুবকের। এগিয়ে আসেনি কেউ।  টাকার অভাবে ভারসাম্যহীন ছেলের চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ। বহুদিন ধরে চিকিৎসা করানোর জন্য গেলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি ভারসাম্যহীন ছেলের।

মালদহের পুরাতন মালদহ ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া এলাকায় বরুন রাম নামের ওই যুবক জন্ম থেকেই হালকা ভারসাম্যহীন ছিল। বয়স বাড়তেই ভারসাম্যহীন এর পরিমাণ বাড়তে থাকে। দীর্ঘ ২৮বছর বয়স হলেও  মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে রয়েছে বরুন রাম। বাবা বৃদ্ধ শিবশঙ্কর রাম পেশায় দিন মুজুর কাজ করে সংসার চালান। 

বরুন রামের দিদি জুলি রাম জানান, আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সেভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইয়ের। বরুন যত বড় হছে তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সংসারে চরম অভাব, তাই যাতে ভাই কোথাও চলে না যায়, চিকিৎসা করাতে না পেরে বাধ্য হয়ে শিকল দিয়ে তালা দিয়ে রাখে বাবা। বরুনের দিদির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বিভিন্ন জায়গায় জানানোর পরেও চিকিৎসার কোনও সাহায্য তো দূরে থাক দেখা পাওয়া যায়নি কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক বা জন-প্রতিনিধির।

 এবিষয়ে এলাকাবাসী নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, ''এই ভাবে পায়ে শিকল বেঁধে দিয়ে বরুন রাম নামে ২৮ বছরের  এক যুবক অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। টাকার অভাবে ওই পরিবারের লোক চিকিৎসা করাতে যেতে পারছেন না। বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মেম্বার সহ বিভিন্ন জায়গাতে জানানোর পরেও কেউ কোনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এইভাবে পায়ে শিকল নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে ওই যুবক। খুব দুঃখজনক ঘটনা।'' এদিকে তাঁর ছেলেকে ছাড়ার কথা বললে তিনি বলেন, '' যদি ছেড়ে দিই হারিয়ে গেলে কোথায় পাবো? আমার এই একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে।