খাদিকুলে বিস্ফোরণ, NIA তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

বুধবার প্রধান বিচরপতির এজলাসে মামলা করার অনুমতি চাইলেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। মামলার অনুমতি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি। বুধবার সকালে এগরার খাদিকুলে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

খাদিকুলে বিস্ফোরণ, NIA তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু
ঘটনাস্থলে শুভেন্দু অধিকারী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: আপত্তি নেই NIA তদন্তে । গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তে আপত্তি নেই। আসল অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়ুক বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই একই দাবি তুলে এনআইএ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী । 

বুধবার প্রধান বিচরপতির এজলাসে মামলা করার অনুমতি চাইলেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। মামলার অনুমতি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি। বুধবার সকালে এগরার খাদিকুলে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কথা বললেন স্বজনহারা ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে। এগরায় ২৫ হাজার লোক নিয়ে মহামিছিল হবে। এনআইএ তদন্ত হবে, পুলিশের ভূমিকা সামনে চলে আসবে'। 'পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মহামিছিল হবে বলে খাদিকুল গ্রাম থেকে হুংকার দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, সিভিক ভলান্টিয়ারদের তোলা তুলতে ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে, বগটুই থেকে শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে না সরালে বাংলার পরিত্রাণ নেই। 'ভানু বাগের বাড়ি পাহারা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। প্রমাণ লোপাট ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান শুভেন্দু অধিকারী।

 এদিকে মঙ্গলবার নবান্নে এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA তদন্ত নিয়ে সুর নরম ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনার তদন্তভার নিলে তাতে বিশেষ আপত্তি করবে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, NIA তদন্ত হলেও আসল দোষীরা যেন ধরা পড়ে। মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল, ওই বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ একজন তৃণমূল নেতা। কিন্তু এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সেই তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই কারখানার মালিককে আগেও গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের পুলিশ।