ইডেনের গ্যালারি থেকে উদ্ধার মাঠকর্মীর ছেলের ঝুলন্ত দেহ!

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সোমবার সাতসকালে ইডেন গার্ডেন্স থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ইডেনের গ্যালারির 'K' ব্লকে ওই যুবকের দেহ ঝুলতে দেখেন CAB-র গ্রাউন্ড স্টাফরা। সিএবি-রর গ্রাউন্ড স্টাফ দৈতারি বারিক কে- ব্লকের উপরের টায়ারে দেহটি ঝুলত দেখেন‌। দেখা মাত্রই তিনি সিএবি কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ময়দান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম ধনঞ্জয় বারিক। বয়স ২১ বছর। তাঁর বাবা গণেশ চন্দ্র বারিকও সিএবি-র দীর্ঘদিনের গ্রাউন্ড স্টাফ। মৃত যুবকের বাড়ি ওড়িশার ভদ্রকের পলাশিতে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, কাজের সন্ধানে কলকাতায় আসা মৃত ওই যুবক সম্প্রতি তাঁর বাবা ও কাকার সঙ্গে ইডেনের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, তিনি ওড়িশা থেকে এসেছিলেন তাঁর বাবা এবং কাকার সঙ্গে। ইডেনের গ্রাউন্ড স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতে শুরু করেন। মৃত ওই যুবক গ্রাউন্ড স্টাফের চাকরি খুঁজছিলেন। পুলিশকে তাঁর পরিবার জানিয়েছে, রবিবার থেকেই ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন। ময়দান থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। তারপরই সোমবার সকালে ইডেনের কে-ব্লকের আপার টায়ারে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক কাজ না পাওয়ায় মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন বেশ কয়েকদিন ধরে। ময়না তদন্তের জন্য দেহটিকে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। কী কারণে এবং কখন ওই যুবক কে-ব্লকের গ্যালারিতে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ইডেনে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আমি সকালেই ঘটনার খবর পেয়েছি। মৃত ওই ব্যক্তি সিএবির কর্মী নন। শুনেছি তিনি আমাদের এক মালীর পুত্র। পুলিশ এসেছে। কি কারনে এই ঘটনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।' 

সোমবার কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল বনাম টাউন ক্লাবের ম্যাচের ছিল। তাই সকাল সকালই ইডেনে এসে পৌঁছন দুই দলের ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতে মানুষের দেহ ঝুলতে দেখে আতঙ্কিত ও বিস্মিত হয়ে পড়েন খেলতে আসা ক্রিকেটাররা। ওই সময় ইডেনে টাউন ক্লাবের কর্তা তথা সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস মাঠে উপস্থিত ছিলেন। তিনি যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। দেবব্রত দাস জানিয়েছেন,'খবরটা দুঃখজনক। আকস্মিক।  ইডেনে এমন ঘটনা ঘটবে তা কল্পনা করা যায়না। ছেলেটি গত কয়েকদিন ধরে ছিল। যেমন এখানের মালিরা থাকে। তাদের সঙ্গে পরিবারও থাকে। ওড়িশা থেকে এসেছে  কাজের সন্ধানে। সে যে এমন ঘটনা ঘটাবে বুঝব কী করে। কী করে হল, তা পুলিশ বলতে পারবে। আমরাও দেখছি কী করে ঘটল ঘটনাটা।'