নৈহাটিতে তৃণমূল নেতা খুন, গ্রেফতার ৩

প্রথমে জাকিরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। কিন্তু বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা।

নৈহাটিতে তৃণমূল নেতা খুন, গ্রেফতার ৩

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: নৈহাটির শিবদাসপুরে গুলি ও বোমাবাজিতে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ৩। অভিযুক্ত ৩ জনকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। 
জানা গিয়েছে, শনিবার ভরসন্ধ্যায় শিবদাসপুরে আচমকা হানা দেন কয়েক জন দুষ্কৃতী। পর পর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়, সেই সঙ্গে বোমাও ফাটান দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন এলাকার তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেন। তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরের তিন জায়গায় গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় জাকিরের। 

নৈহাটির এই গুলিকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে রবিবার আসিফুল রহমান ওরফে বাচ্চা এবং ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২ জনের বয়সই ১৮ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আসিফুল শিবদাসপুরের কন্দপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। ফারুকের বাড়ি আমডাঙার শিকারিরা গ্রামে। তাঁদের ২ জনের কাছ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রথমে জাকিরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। কিন্তু বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রাস্তা দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জাকির। তিন রাউন্ড গুলি করা হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। বুকে-পেটে-হাতে গুলি লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দুষ্কৃতীরা অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করতে করতেই পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবারই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।

এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামের পরিস্থিতি। ঘটনার নেপথ্যে নাম উঠে আসে আশিফুল ওরফে বাচ্চা নামে এক নাবালকের নাম। জানা যাচ্ছে, আশিফুল এলাকায় হেরোইন-গাঁজার ব্যবসা করত। তাতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় জাকির বাধা দিয়েছিলেন। এলাকাবাসীদের কথায়, জাকির বরাবরই প্রতিবাদী। আশিফুল এলাকার ত্রাশ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যবসায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জাকির। আশিফুলকে একবার পুলিশের হাতেও তুলে দেন জাকির। ঠিক ১৫ দিন আগেই ছাড়া পান আশিফুল ওরফে বাচ্চা। তারপর জাকিরকে সরাতেই খুনের ছক।