বিদেশ বিভূঁইয়ে কাজে গিয়ে আটকে ছেলে, থানায় নালিশ জানাতে গিয়ে মৃত্যু বাবার

মোটা টাকা রোজগারের আশায় মালয়েশিয়া গিয়ে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে না খেতে পেয়ে দু'মাস ধরে আটকে রয়েছেন তাঁরা।

বিদেশ বিভূঁইয়ে কাজে গিয়ে আটকে ছেলে, থানায় নালিশ জানাতে গিয়ে মৃত্যু বাবার
বিদেশে আটকে থাকা ৩ যুবক (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: এজেন্টের হাত ধরে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে গিয়ে বিপদে বাংলার ৩ যুবক। মোটা টাকা রোজগারের আশায় মালয়েশিয়া গিয়ে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে না খেতে পেয়ে দু'মাস ধরে আটকে রয়েছেন তাঁরা। বিদেশ বিভূঁইয়ে বিপাকে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার খড়গ্রামের ৩ যুবক‌। তাঁদের যাতে অবিলম্বে দেশে ফেরানো হয় তার আবেদন জানিয়ে মালয়েশিয়া থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁরা। 

এদিকে ভিন দেশে ঘরের ছেলেদের আটকে পড়ার খবরে প্রচণ্ড উৎকণ্ঠায় তাঁদের পরিবার। ছেলেদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা ও এজেন্টদের শাস্তি চেয়ে থানায় যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের বাবার। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার বড়ঞা হাসপাতাল মোড়ের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গ্রামবাসীকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে পরে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রিটন শেখ (৪৮)। বাড়ি খড়গ্রাম থানার জল ট্যাংকি মোড় এলাকায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ও এজেন্টদের খোঁজ চলছে। 
খড়গ্রাম গ্রামের বাসিন্দা সিটন শেখ, লুৎফর রহমান ও হাসিবুল শেখ। লুৎফর রহমানের বাবা জাসের শেখ বলেন, ''আমার ছেলে-সহ ওঁর দুজন বন্ধু হাসিবুল ও সিটন দুমাস আগেই বড়ঞা থানা এলাকার মুনাই কান্দ্রা গ্রামের এক এজেন্ট মারফত প্রায় দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়া যায় কাজ করতে। ওই এজেন্ট সেখানে মোটা টাকার কাজের কথা বলেছিল। কিন্তু দু’মাস ধরে ছেলেদের মালয়েশিয়ায় একটি ঘরে আটকে রেখেছে কোনও কাজ নেই। ওদের কাছে কোনও টাকা-পয়সাও নেই। বাড়ি ফিরতে পারছে না। যে এজেন্টরা ছেলেদের নিয়ে গিয়েছিল তাঁদের সাথেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।''

 তিনি আরও জানান,পুরো বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় খড়গ্রাম থানায় যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বড়ঞা থানায় যেতে বলেন। বড়ঞা থানা শনিবার সকাল দশটায় যেতে বলেছিল। সকালে থানায় যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শিপন শেখের বাবা রিটন শেখের (৪৮)। এদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।