Mamata Cabinet Meeting: কালীঘাটের বাড়িতেই শুরু মন্ত্রিসভার বৈঠক, নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত

বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের আর হাতে গোনা মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। এখনও কোনও পুজোর উদ্বোধন হয়নি। প্রায় সব মণ্ডপই অসম্পূর্ণ। তার মধ্যেই বিদেশিদের এই পুজো পরিক্রমা।

Mamata Cabinet Meeting: কালীঘাটের বাড়িতেই শুরু মন্ত্রিসভার বৈঠক, নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কালীঘাটে নিজের বাড়িতে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো Mamata Banerjee। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর শরীর অসুস্থ থাকায় নজিরবিহীন ভাবে এই প্রথমবার তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কালীঘাটের বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব বাসভবন। সরকারি আবাসন নয়। আর সেক্ষেত্রে এই প্রথম বেনজির ভাবে বাংলার কোনও মুখ্যমন্ত্রী নিজের ব্যক্তিগত বাসভবনে গুরুত্বপূর্ন বৈঠক ডাকলেন। 

আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিভিন্ন জেলার হাজারের কাছাকাছি পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন তিনি। অর্থাৎ আজ, মহালয়ার একদিন আগে থেকেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাচ্ছে রাজ্যে। মহালয়ার দিন নজরুল মঞ্চে দলের মুখ‌পত্র জাগো বাংলা-র উৎসব সংখ‌্যা ও মুখ‌্যমন্ত্রীর পুজোর গানের সিডির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ। এরপর কলকাতার পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা। এদিকে, কলকাতায় ইতিমধ্যেই পুজো পরিক্রমা শুরু করেছেন ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল। বারোয়ারি থেকে বাড়ির পুজো, সব মিলিয়ে ২৬টি পুজো পরিক্রমা করে দলটি।

বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের আর হাতে গোনা মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। এখনও কোনও পুজোর উদ্বোধন হয়নি। প্রায় সব মণ্ডপই অসম্পূর্ণ। তার মধ্যেই বিদেশিদের এই পুজো পরিক্রমা। এবার ১২টি দেশের প্রতিনিধি এসেছেন কলকাতার পুজো দেখতে। এদিন থেকেই তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। ইউনেস্কো, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই পরিক্রমা চলছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই পরিক্রমা। তালিকায় রয়েছে শহরের নামকরা ২৬টি পুজো। যার মধ্যে ২২টি বারোয়ারি থিম পুজো, দুটি সাবেকিয়ানার পুজো এবং দুটি বনেদি বাড়ির পুজো রয়েছে।

এদিনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রদূত। ঐতিহ্যবাহী টাউন হলে পুজো সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনী দেখে টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ থেকেই পুজো পরিক্রমা শুরু করেন বিদেশি অভ‌্যাগতরা। টালা প্রত‌্যয়ের উদ্যোক্তা শুভ বসু তাঁদের কাছে ব‌্যাখ‌্যা করেন থিম পুজোর মাহাত্ম‌্য। জার্মানি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, ফিজি, মঙ্গোলিয়ার মতো দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন টিমে। আসলে দুর্গোপুজো তো শুধু পুজো নয়, শিল্পের মেলবন্ধন। মৃৎশিল্প, আলো, আবহ, মণ্ডপ শিল্প, চারুশিল্প, কারুশিল্প, হস্তশিল্প– সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় দশভুজার আঙিনায়। হাজারো সামাজিক বার্তা নিয়ে সেজে ওঠে বারোয়ারি থিম মণ্ডপ। ধর্ম, বর্ণ, জাতিভেদ ভুলে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। এই অভিনব উদযাপনকে চাক্ষুস করতেই শহরে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। তার জন্যই আবার একবার পুজোর আবহে কলকাতামুখী হওয়ার উদ্যোগ।