দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ভোট দান, শিশির-দিব্যেন্দুকে চিঠি ধরাল তৃণমূল

দলের সঙ্গে 'দূরত্ব' তৈরি হওয়া শিশির-দিব্যেন্দুকে সেই নির্দেশ চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ভোট দান, শিশির-দিব্যেন্দুকে চিঠি ধরাল তৃণমূল

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিলেন লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়।

 শনিবারের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল অংশ নেবে না বলে আগেই ঘোষণা করেছে। দলের পক্ষে জানানো হয় বিজেপি প্রার্থী জগদীপ ধনখড় বা বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী মার্গারেট আলভার কাউকেই সমর্থন দেবে না দল। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটাধিকার থাকে শুধু লোকসভা বা রাজ্যসভার সাংসদদের। সেই হিসাবে সব সাংসদকেই ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। 

দলের সঙ্গে 'দূরত্ব' তৈরি হওয়া শিশির-দিব্যেন্দুকে সেই নির্দেশ চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দলের নির্দেশকে উপেক্ষা করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। কাঁথি ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শিশির-দিব্যেন্দু যদিও ভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।

প্রসঙ্গত, রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে চারদিনের সফরে তৃতীয় বার মুখোমুখী হন মোদি-মমতা। এদিনের বৈঠকে জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতি তৈরি করেছে। দেশের সব রাজ্যেই সেই শিক্ষা নীতি কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই নীতির বেশ কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি থাকায় পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যকর করা হচ্ছে না। এদিকে শিক্ষা নীতি নিয়ে বৈঠকের মাঝেই নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জানা গিয়েছে, সারা দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে শিক্ষা নীতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যয়ের বৈঠক হয় রাজ্যে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বহু শিক্ষাবিদ। রাজ্য শিক্ষা নীতি নিয়ে কী নিয়ম আনতে চায়, সে সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাজ্য এক পৃথক শিক্ষানীতি তৈরি করতে চায় বলেই জানা গিয়েছে।