চাষীদের ধানের আগে ব্যবসায়ীদের ধান কেনার অভিযোগ

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বন্ধ হয়নি দুর্নীতি

চাষীদের ধানের আগে ব্যবসায়ীদের ধান কেনার অভিযোগ

"কথায় বলে কয়লা যায় না ধুলে, আর স্বভাব যায় না মলে" - আর সেই প্রবাদ বাক্য সত্যি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমা ব্লকের গঞ্জের বাজার কিষান মান্ডিতে। ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্রে চাষীদের সকাল থেকে বসিয়ে রেখে ব্যবসায়ীদের ধান আগে ক্রয় করার অভিযোগ। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমা ব্লকের গঞ্জের বাজার কিষান মান্ডিতে বস্তায় অতিরিক্ত মাপের ধান আনলে চাষীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া। এমনকি সকাল থেকে চাষীদের বসিয়ে রেখে আগের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান কেনা। বিশেষ করে প্রতিদিন একাধিক ব্যবসায়ীকে ধান বিক্রয় করার সুযোগ করে দেওয়া-সহ নানান অভিযোগ ধান বিক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিক এবং মিল কর্মীর বিরুদ্ধে।

ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অতিরিক্ত ধান নেওয়া বন্ধ হয়েছে প্রত্যেকটি কিষানমন্ডীতে। তবুও বন্ধ হয়নি ধান কেনার নামে দুর্নীতি। পাথরপ্রতিমার কিষান মান্ডিতে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার বস্তার ধান কেনা হয় সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে। কিন্তু ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিনই প্রায় ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়েছে। তার উপরে মিল কর্মীরা চাষীর কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে ধানের বস্তা গাড়িতে তোলার জন্য। কিন্তু এই বিষয়ে কিন্তু চাষীরা সরব।
অবশ্য পারচেজ অফিসার প্রকাশ মণ্ডল ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এবং টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন তবে এই বিষয়গুলি তিনি জানেন না বলেই জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে মিল কর্মী রতন মন্ডল এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

পাশাপাশি এই বিষয়ে চাষীদের অভিযোগ, তারা বহু দূর-দূরান্ত থেকে ভোর হতেই ধান নিয়ে আসছেন ধানমন্ডিতে। কিন্তু ব্যবসায়ীরাও ধান জমা করেছেন, চাষীদের ধানগুলো আগে না মেপে ব্যবসায়ীদের ধান আগেই মাপ করে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে যে সমস্ত চাষীদের জায়গায় অন্যান্য চাষীদের কাছে বন্ধক কিংবা আগাম খাজনা দেওয়া আছে, এবং যারা বাড়ির খাবার জন্য রেখেছে তাদের কিছু টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের কাগজপত্র অনলাইন করে নিজেরা বাড়ির থেকে কেনা ধান কিষান মান্ডিতে আনছে। যার ফলে প্রকৃত কৃষকরা সরকার নির্ধারিত ধান দিতে পারছেন না, পরবর্তীকালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।