'বঞ্চনা' বনাম 'দুর্নীতি'! TMC-কে একযোগে আক্রমণ সুকান্ত-শুভেন্দুর
বিধানসভা ও কলকাতার মেয়ো রোডো জোড়া বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগের পাল্টা দুর্নীতির খতিয়ান দেয় বিজেপি। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন Suvendu Adhikari...

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নায় শাহের পুলিশের (Delhi Police) বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ। শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজঘাটে ধর্নায় দিল্লি পুলিশ ও CRPF-এর বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। আর ঠিক তখনই বঞ্চনা বনাম দুর্নীতির অভিযোগে তুলে TMC-কে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার দিল্লিতে BJP-র সদরে দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলায় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন Sukanta Majumdar।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত কটাক্ষ করে বলেন, ''বাংলায় ১০০ দিনের কাজকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভুয়ো তালিকা তৈরি করে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। ভুয়ো তালিকা করে বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বাংলায় রাজনীতি করা হচ্ছে। বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার। কেন্দ্র ৩বার রাজ্য সরকারের কাছে টেকেন অ্যাকশন রিপোর্ট চেয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রকে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।''
এদিন তৃণমূলের বঞ্চনা প্রতিবাদে পাল্টা সরব হন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সদর দফতর থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন সুকান্ত। পাশাপাশি বিধানসভা ও কলকাতার মেয়ো রোডো জোড়া বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তৃণমূলের বঞ্চনায় পাল্টা দুর্নীতির খতিয়ান দেয় বিজেপি। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন Suvendu Adhikari। তিনি বলেন, '' ইউপিএ সরকারের তুলনায় এনডিএ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। জিএসটির ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের দু'টো রাজ্য অডিট রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি। কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ। দেশের অর্থমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য দিয়েছেন। এই অডিট না হওয়া পশ্চিমবঙ্গকেও জিএসটির কালেকশন হবে ধরে নিয়ে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়েছে সরকার।'' শুধু তাই নয়, সোমবার বিধানসভার সামনে বসে সেই ১০০ দিনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই কেন্দ্রের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, ''আমার মনে হয় এখন সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।''
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ''আমফানের পর ৩৭৫০ কোটি টাকা দেওযা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাগ তদন্ত করছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে চুরি আর দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। শুভেন্দু বলেন, “মনরেগার ক্ষেত্রে পয়সা কেউ আটকায়নি, চুরি আটকানো হয়েছে। প্রকৃত জবকার্ড হোল্ডারদের জানাতে চাই ১.১১.২০২২ জবকার্ডের সঙ্গে আধারের যখন লিঙ্ক শুরু হয়, তার আগে এই রাজ্যে জবকার্ডের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫৭। এই তথ্য এমআইএসের। আধারের সঙ্গে লিঙ্ক হওয়ার পর ৩০.৯.২০২৩ সালে এখানে জবকার্ডের সংখ্যা হল ২ কোটি ৫৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৩২। ভুয়ো সব নাম বাদ পড়েছে। ১ কোটির উপরে কার্ড বাতিল হয়।''