দ্বিতীয়বারের নোটিশেও মিলল না দেখা, চৈতালি তিওয়ারির ফাঁকা ফ্ল্যাট দেখেই ফিরল পুলিশ

গত ১৪ ডিসেম্বর  আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ঠ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়।

দ্বিতীয়বারের নোটিশেও মিলল না দেখা, চৈতালি তিওয়ারির ফাঁকা ফ্ল্যাট দেখেই ফিরল পুলিশ

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ২১ তারিখের পর ফের ২২ তারিখ। পুলিশের দেওয়া দ্বিতীয় নোটিশ অনুযায়ী ২২ তারিখ সকাল ১০ টা নাগাদ জিতেন্দ্র তিওয়ারির আবাসনে পৌঁছয় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। এদিনও আবাসন তালা বন্ধ অবস্থায় থাকায় আবাসন থেকে ফিরে যান পুলিশ আধিকারিকরা। 

 জানা গিয়েছে, গত ১৪ ডিসেম্বর  আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ঠ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দিয়েছিল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। প্রথম নোটিশ দেওয়ার পর বাড়িতে পুলিশ গেলে তালা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান চৈতালি তিওয়ারির আবাসন। এরপর দ্বিতীয় নোটিশ দেওয়া হয় তাঁদের। ২২ তারিখ সকাল দশটা নাগাদ পুলিশ আধিকারিকরা এই আবাসনে পৌঁছালে তালাবন্ধ অবস্থায় দেখতে পান আবাসনটি। তবে ইতিমধ্যেই আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ। সেদিনের ঘটনায় যে কিশোরী মারা গিয়েছিল সে চৈতালি তিওয়ারির খুব কাছের ছিল। তার মৃত্যুর পরেই ভেঙে পড়েছেন কাউন্সিলর। 

গত ১৪ ডিসেম্বরের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই তুমুল বিপর্যয় নেমে আসে। প্রায় ৫ হাজার কম্বল বিতরণের কথা ছিল সেদিন। কিন্তু প্রচুর মানুষ সেদিন জড়ো হয়ে গিয়েছিল। কম্বল নিতে গিয়ে ব্যাপক হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তখনই পদপিষ্ট হয়ে এক কিশোরী সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এবার সেই মৃত্য়ুর ঘটনায় বিজেপি নেত্রীকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে মঙ্গলবার আবেদন জানালেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী। এই ঘটনায় আগেই ৬ বিজেপি যুব মোর্চার নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

 এদিকে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তিওয়ারি-সহ ১০জনের বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআর। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন আসানসোল পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। সভায় উপস্থিত ছিলেন চৈতালির স্বামী, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও।

 এদিকে বৃহস্পতিবার ফের একবার  জিতেন্দ্র তিওয়ারির দরজা থেকে দ্বিতীয়বারও খালি হাতে ফিরতে হল পুলিশকে। কম্বলকাণ্ডে ৩ জনের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জিতেন-জায়া চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার গিয়েছিল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। কিন্তু জিতেনের ফ্ল্যাটে বৃহস্পতিবারও তালা ঝুলতে দেখা গিয়েছে। ওই মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছেন জিতেন। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই সেই আবেদনের শুনানি রয়েছে। এবার এই ঘটনায় জিতেন্দ্রর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।