ক্ষুদা ও ভয় মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে পঞ্চায়েত ভোটে আত্মপ্রকাশ নতুন দলের

রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুরের ইসলামপুর পঞ্চায়েত থেকে SDPI-প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রেক্সোনা বিবি। লাল-সবুজ তারা সম্বলিত পতাকায় ঢেকেছে গ্রামের পর গ্রাম।

ক্ষুদা ও ভয় মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে পঞ্চায়েত ভোটে আত্মপ্রকাশ নতুন দলের
নিজস্ব চিত্র

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কোথাও শাসকদলের স্থানীয় স্তরে একাধিক গোষ্ঠী কোথাও বা বিরোধীদেরও। কোথাও সংখ্যালঘুরা ব্রাত্য। আর এই সমস্তদিক বিবেচনা করেই এবার পঞ্চায়েত ভোটে আসরে নামছে 'SDPI' নামের সম্পূর্ণ একটি নতুন রাজনৈতিক দল। 'SDPI' অর্থাৎ স্যোশ্যাল ডেমোক্র্যাট্রিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে নতুন এই রাজনৈতিক দলটি ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নদীয়ার শান্তিপুর, হরিপুর পঞ্চায়েতে প্রচারে নেমেছেন 

জানা গিয়েছে, রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুরের ইসলামপুর পঞ্চায়েত থেকে SDPI-প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রেক্সোনা বিবি। লাল-সবুজ তারা সম্বলিত পতাকায় ঢেকেছে গ্রামের পর গ্রাম। প্রার্থীর স্বামী নূর নবী শেখ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে স্যোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার লড়াই চলছে ২০০৯ সাল থেকে। নয়া দিল্লিতে এর প্রধান অফিস। এরাপুঙ্গন আবুবাকার প্রতিষ্ঠিত এই দলে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এম কে ফ্রেজি। এ রাজ্যে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন। শুধু তাই নয়,  বিজেপি, তৃণমূল ও বামপন্থী প্রত্যেক দলের ক্ষেত্রেই সমদ্রুত রেখে চলা এই রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে। দলিত সংখ্যালঘু সহ প্রান্তিক মানুষদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে এই দল। ক্ষুধা থেকে মুক্তি, ভয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই তাদের এই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

২১ জুন ২০০৯ সালে তাঁদের এই দল গঠিত হলেও ২০১০ সালে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অন্তর্ভুক্তি পায়। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে সংসদ বিধায়ক, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করলেও এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে ফল মেলেনি। তবে সংগঠনের বৃদ্ধি ঘটেছে অনেকটাই। এমনটাই দাবি তাদের। এদিকে শান্তিপুরে শাসক দলের প্রতি কিছুটা হলেও সংখ্যালঘুদের মনঃক্ষুন্ন। তবে এই নতুন সংগঠন কতটুকু দাঁত ফোটাতে পারবে তা নিয়েই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।