রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কেন্দ্র-রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহিনীর অভিযোগ তোলেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। প্রথমে রাজভবনে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর পরে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা। জানুন বিস্তারিত...

রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কেন্দ্র-রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চিত্র।।

রিমিক মাঝি, কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ( CV Anand Bose) বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় এবার কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোরাল সওয়াল করেন নির্যাতিতা।

রাজ্য সরকার (West Bengal News) ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চেয়ে সওয়াল করে। তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এই মামলায় আদালতকে সহযোগিতা করতে হবে। মামলায় কেন্দ্রকে যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ সপ্তাহ পর।

গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহিনীর অভিযোগ তোলেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। প্রথমে রাজভবনে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর পরে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেনি পুলিশ। পরে পুলিশ অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করে এবং ওই নির্যাতিতাকে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনের বেশ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার অজু করে পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও পুলিশি সেই তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেন।  হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিত মহিলা। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/businessman-allegedly-attacked-in-Nadia-Krishnagar-areas-by-miscreants

শুক্রবার মামলার শুনানিতে, নির্যাতিতার আইনজীবী তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর বক্তব্য, সংবিধানের ৩৬১ ধারার দোহাই দিয়ে রাজ্যপাল ফৌজদারি মামলা থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি পেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত তদন্ত এগোবে না। যা আমার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। নির্যাতিতার ওই যুক্তি শোনার পরই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠায়। একই সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেয়, এই মামলায় আদালতকে সহযোগিতা করতে। মামলায় কেন্দ্রকে যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ সপ্তাহ পর।