একমঞ্চে পড়াশোনা থেকে বিনোদনের আড্ডা, ইন্টারনেট রেডিও বানিয়ে তাক লাগাল বিজয়গড় কলেজের পড়ুয়ারা

দেশের সীমানা পেরিয়ে এখন প্রায় ৯০টি দেশে এই রেডিও-র অনুষ্ঠান শোনা যায়। তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছানো মূলত লক্ষ্য। ছাত্র-ছাত্রী ও সহযোগী মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন বর্তমানে যুক্ত এই কাজের সঙ্গে। পড়ুন আরও...

একমঞ্চে পড়াশোনা থেকে বিনোদনের আড্ডা,  ইন্টারনেট রেডিও বানিয়ে তাক লাগাল বিজয়গড় কলেজের পড়ুয়ারা
রেডিও (ফাইল চিত্র)

ত্রয়ণ চক্রবর্তী, কলকাতা: বিভাগীয় মাস্টার মশাই আর কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী মিলে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করলেন। আস্ত একটা রেডিও স্টেশন বানিয়ে  ফেলেছেন তারা। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা যেমন হচ্ছে তাতে পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে সেখানে। এমন উদ্যোগ বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের। দিনে দিনে বাড়ছে রেডিও-র শ্রোতার সংখ্যাও। আর হাতে কলমে কাজ করতে পেরে অন্যাদের থেকে মানও বাড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।

তখন পরিস্থিতি বড়ই জটিল। তখন পরিস্থিতি কঠিন। চলছে করোনা কাল। স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারি বন্ধ। মানব সভ্যতা এক অসহনীয় অবস্থার সম্মুখীন। সেইসময় নিজেদের একটি রেডিও স্টেশন তৈরি করে ফেললো বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। সৌজন্যে ওই কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ অণর্ব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাবনাটা আসে বিদেশের এমন রেডিও স্টেশন থেকে।

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Thunderstorm-Rain-alert-at-Kolkata-in-South-Bengal-On-today

এদেশে ব্যক্তিগত স্তরে এমন স্টেশন থাকলেও স্নাতকস্তরে এমন উদ্যোগ সম্ভবত প্রথম। কলেজের অধ্যক্ষাও অনুমতি দেন। কলেজের বিভাগীয় প্রধান অর্ণব বাবু জানান, বর্তমানে রেডিও অ্যাপের মাধ্যমে খোলা যায় এই ইন্টারনেট রেডিও স্টেশনটি। বর্তমানে ২৪ ঘন্টার এই রেডিও স্টেশনটি। অ্যাকাডেমিকের পাশাপাশি বিনোদনেরও একাধিক অনুষ্ঠান হয়। যার মধ্যে রয়েছে কিছু কথা কিছু গান,নাটক,গল্পপাঠের মতো অনুষ্ঠানও। লাইভ ফোন-ইন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসাহ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রয়েছে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম নামে অনুষ্ঠানও।

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/BJP-candidate-Hiran-Chatterjee-to-move-FIR-against-of-TMC-candidate-Dev

দেশের সীমানা পেরিয়ে এখন প্রায় ৯০টি দেশে এই রেডিও-র অনুষ্ঠান শোনা যায়। তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছানো মূলত লক্ষ্য। ছাত্র-ছাত্রী ও সহযোগী মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন বর্তমানে যুক্ত এই কাজের সঙ্গে। সরকারি কোনও সাহায্য এখনও অবধি না পেলেও নিজেদের চেষ্টায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সব পক্ষই।