ভাঙন আতঙ্ক সঙ্গী করেই চলছে পঠনপাঠন, সমস্যায় শিক্ষক-পড়ুয়ারা

নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১২৭। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫ জন।

ভাঙন আতঙ্ক সঙ্গী করেই চলছে পঠনপাঠন, সমস্যায় শিক্ষক-পড়ুয়ারা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: 'নদীর ধারে বাস, ভাবনা বারো মাস'। বাংলার এই প্রবাদ বাক্য যেন কিছুটা হলেও সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের ৯ নং গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটিয়ায়। এই এলাকায় অবস্থিত নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধরা পড়ল ভয়াবহ দৃশ্য। প্রানের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন। পাশেই বয়ে চলেছে নাগর নদী। 

জানা গিয়েছে, নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১২৭। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫ জন। বিগত দিনে নাগর নদীর বন্যায় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে। ভবনের একাংশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি গোটা বিদ্যালয় ভবনের দেওয়াল, মেঝে ও ছাদে মারত্মক ভাবে ফাটল ধরেছে। মেঝে থেকে দেওয়ালের সংযোগের একেবারেই নড়বড়ে অবস্থা। যেকোনও মুহুর্তে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে পারে গোটা ভবন। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রান হাতে করে চলছে পঠনপাঠন। ছাত্রছাত্রীরা রীতিমতন আতঙ্কে ভুগছে। 

 ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সারা দিন দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।পড়ুয়াদের পাশাপাশি একইভাবে আতঙ্কে সারা দিন কাটাতে হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার দাস। তিনি বলেন, ''একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বর্তমানে যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করে পঠনপাঠন চলছে।'' 

বিদ্যালয়ের পাশাপাশি সংলগ্ন স্থানে রয়েছে নাগর নদীর ঘাট। সুতরাং, যেকোনও মুহুর্তে বিদ্যালয় ভেঙে পড়লে শিক্ষক পড়ুয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন সাধারন মানুষও। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাঁধেই দায় চাপিয়েছেন ঐ এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ফুল খাতুন।