Primary Recruitment Case: সাধারণ অভিনেত্রী থেকে ৩০ কোটির মালিক! নিয়োগ দুর্নীতিতে CGO-তে হাজিরা সায়নীর

কুন্তল ঘোষ সহ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জেলে রয়েছে নীলাদ্রি ঘোষ, অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এর আগে জেরায় সায়নী ঘোষের নাম উল্লেখ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ।

Primary Recruitment Case: সাধারণ অভিনেত্রী থেকে ৩০ কোটির মালিক! নিয়োগ  দুর্নীতিতে CGO-তে হাজিরা সায়নীর
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টা আগে। অবশেষে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। শুক্রবার ইডির দেওয়া নির্ধারিত সময়ের ২২ মিনিট পর সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন তিনি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের কী যোগ রয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যে ৪ পাতার প্রশ্নমালা নিয়ে তৈরি রয়েছে ইডি আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, সায়নীকে মোবাইল ফোন নিয়ে ইডি দফতরে প্রবেশে নিষেধ করা হয়। তবে সিজিও'তে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রচারে ছিলাম তাই আসতে দেরী হল। ইডিকে ১০০ শতাংশ সাহায্য করব।' 

সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষ সহ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জেলে রয়েছে নীলাদ্রি ঘোষ, অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা। শুধু তাই নয়, এর আগে জেরায় সায়নী ঘোষের নাম উল্লেখ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই সূত্র ধরেই এবার সায়নী ঘোষকে তলব করে ED। জানা গিয়েছে, একাধিক সাক্ষীর বয়ানে উঠে এসেছে সায়নীর নাম। এমনকি অভিযোগ, কুন্তলের সম্পত্তি কেনাবেচা সংক্রান্ত নথিতে রয়েছে টলি অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের নাম। মাত্র ৫ বছরে ৩০ কোটির মালিক হয়ে গিয়েছেন সায়নী ঘোষ। রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এত অল্প সময়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন সায়নী ঘোষ? সে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইডির তলব সায়নী ঘোষকে। 

এদিকে ইডির তরফে এই প্রথম সায়নীকে তলব করা হলেও নিয়োগকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন এর আগেও তাঁর নাম উঠে এসেছে। নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তলের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সায়নীকে। তখনও নিয়োগ মামলা নিয়ে জট পাকতে শুরু করেনি। কুন্তলও ইডির নজরে আসেননি। কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর ছবিও প্রকাশ্যে আসে। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি Tribe TV। । উল্টে কুন্তলকে বহিষ্কার করতে চেয়ে সায়নী তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছিলেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, এমন কোনও চিঠি সায়নী দেননি। সবটাই উড়ো খবর এবং গুজব। যুব সভানেত্রীও প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। ইডি সূত্রে খবর, সেই কুন্তলের যোগসূত্র ধরেই নিয়োগকাণ্ডে সায়নীর নাম জড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে আয়কর জমা দেওয়ার ফাইল এবং সম্পত্তির হিসাব নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। যত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার তথ্য এবং লেনদেনের নথি আনতে বলা হয়েছে।