অভিজিৎ মূল অভিযোগে অভিযুক্ত নন, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ থাকতেও পারে: সিবিআই

সন্দীপের সঙ্গে ঐদিন কথোপকথন হয়েছিল টানা থানার ওসির। এদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। পুলিশ ও সিবিআইয়ের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। টালা থানার ওসিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তথ্য সিবিআই পেতে চাইছে।

অভিজিৎ মূল অভিযোগে অভিযুক্ত নন, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ থাকতেও পারে: সিবিআই
file image

অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তথ্যপ্রমাণ লোপাট, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। শনিবার সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎকে রবিবার সকালে আদালতে পেশ করানো হয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। দুজনকেই তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। 

সিবিআইয়ের আইনজীবী: টালা থানার ওসি এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত নয়। তবে আমার মনে করছি এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আরজি করের এই ঘটনার ইনফরমেশন টালা থানায় আসে সকাল ১০ টায়, কিন্তু টালা থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান ১১ টার সময়। এফ আই আর রুজু হয়েছিল রাত ১১:৩০টার পরে। সন্দ্বীপের সঙ্গে ঐদিন কথোপকথন হয়েছিল টানা থানার ওসির। এদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। পুলিশ ও সিবিআইয়ের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। টালা থানার ওসিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তথ্য সিবিআই পেতে চাইছে।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/r-g-kar-protestors-shout-slogans-against-tala-oc-abhijit-Mondal

সন্দ্বীপ ঘোষ আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছেন। গতকাল রাতে তাকে জেল থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। ওসি একজন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাই তার কাঁধে দায়িত্ব রয়েছে তিনি তার দায়িত্ব সম্পর্কে জানেন। কিন্তু তিনি যথাযথ পদক্ষেপ করেননি। দুজনেরই সিবিআই হেফাজতের আবেদন করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। সন্দীপ এবং অভিজিৎকে মুখোমুখি জেরা করার আবেদন সিবিআইয়ের। ফোন রেকর্ডে দেখা গেছে সন্দীপ এবং অভিজিৎ-এর সঙ্গে যোগ সূত্র রয়েছে। তিন দিনের হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে।
 
অভিজিৎ-এর আইনজীবী: আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যে ধারা গুলো দেয়া হয়েছে তা জামিনযোগ্য। ওর বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে দেরিতে যাওয়া এফআইআরদের দায়ের করা মত অভিযোগ রয়েছে। তার জন্য বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে এর জন্য গ্রেফতার করা যেতে পারে না। কিন্তু  যতবার নোটিশ দিয়ে ডাকা হয়েছে ততবারই সহযোগিতা করেছে। ৬ টা নোটিশ দেওয়া হয়েছে আমার মক্কেল চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তা সত্ত্বেও ১৪ তারিখ নোটিশ দিয়ে আবার হাজিরা দিতে বলা হলে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। এতবার জিজ্ঞাসা করার পরেও কিছু পাওয়া গেল না কিন্তু গতকাল কি এমন পাওয়া গেল যার জন্য গ্রেফতার করা হল । তাকে কোন গ্রাউন্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমাকে বলা হয়নি আমি অভিযুক্ত নাকি সাক্ষী। অ্যারেস্ট মেমোতে কোনো সই নেই।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/congress-leader-allegedly-Murdered-in-Maldaha

শিয়ালদহ বার কাউন্সিলের রেজলিউশন নেওয়া হয়েছে যে এই খুন ধর্ষণের মামলায় যে অভিযুক্তরাই আসবে তাদের বিরুদ্ধে শিয়ালদহ আদালতের কোন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হবেন না। অভিজিৎ মন্ডলের হয়ে এক আইনজীবী জামিনের আবেদন করতে গেলে আদালত কক্ষের মধ্যেই শিয়ালদহ আদালতের বার কাউন্সিলের এক আইনজীবী রাজেন্দ্র গুপ্ত তীব্র বিরোধিতা করতে থাকেন। হুমকির সুর তিনি বলেন আজ বাইরে থেকে এসে জামিনের আবেদন করলেন তো লজ্জা করছে না, বাইরে মানুষ অপেক্ষা করছে আপনাদের দেখে নেবে।